প্রিয় প্রিয়াংকা by রবিউল ইসলাম

তখন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়েন। বাবা এক দিন কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে নিয়ে যান। বাবার উৎসাহে সেদিনই প্রথম আবৃত্তি করা।
প্রিয়াংকা সেখানে প্রথম স্থানটি দখল করে নেন। শুরু হয় তাঁর পথচলা।
‘আবৃত্তি মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। আবৃত্তিটা আসে ভেতর থেকে। বিতর্ক আমাকে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখায়। আর উপস্থাপনা ছাড়তে পারব না। রক্তে মিশে গেছে। আবৃত্তিটাকে বুকে ধরে, বিতর্ককে মাথায় রেখে, উপস্থাপনাটাকে সঙ্গে নিয়েই আমি পথ চলতে চাই।’ কথাগুলো বলে চলেন সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার বন্ধু জান্নাতুল হামিদা প্রিয়াংকা।
স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবিতা আবৃত্তির আসর মানেই প্রিয়াংকার আবৃত্তি। নিজের জায়গা নিজেই করে নেন। এ জন্য সব শিক্ষকের কাছেই পরিচিত মুখ। তাঁর হাসিমাখা মুখটি সবার পরিচিত। তাঁর এই হাসিমুখের কারণেই যেকোনো অনুষ্ঠানে তাঁকে মঞ্চে দেখা যায়। হয়তো আবৃত্তি কিংবা বিতর্কে, নয়তো উপস্থাপকের ভূমিকায়।
ছোটবেলা থেকেই তিনি তাঁর শিক্ষক বাবা মো. মনোয়ার হোসেনের আদর্শকে অনুসরণ করেন। বাবার কাছ থেকেই তাঁর আবৃত্তির হাতেখড়ি। তাঁর বাবার মতো সত্যবাদী হতে চান। তাঁর মা বলেন, যা করবে শুধু নিজের জন্য কোরো না। মানুষের জন্য কোরো।
পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় সিলেট বিভাগের মধ্যে আবৃত্তিতে প্রথম হয়েছিলেন। কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারণে ঢাকায় এসে চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করা হয়নি। কলেজে গিয়েই আবৃত্তিতে প্রথম হয়ে ক্যাম্পাসের প্রিয় মুখ হয়ে যান।
বন্ধুটির পুরো নাম জান্নাতুল হামিদা প্রিয়াংকা। আমাদের এই বন্ধুটি ক্যাম্পাসের প্রিয় মুখ, প্রিয়াংকা।

No comments

Powered by Blogger.