অবাধ ও সুষ্ঠু হোক সিটি নির্বাচন

১৫ জুন সিলেট, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য জানিয়েছেন পাঠকরা। গ্রন্থনা : একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক
মো. মেহেদী হাসান
ব্যবসায়ী, বানারীপাড়া, বরিশাল
সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। এ নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হবে তার ওপর নির্ভর করছে আগামী সংসদ নির্বাচন। বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে বলে তাদের ধন্যবাদ। সবাই যেন ফল যাই হোক মেনে নেয়। আগামী সংসদ নির্বাচনেও যেন বিএনপি অংশ নেয়।

কুমারেশ চন্দ্র
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ টার্মিনাল
চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন উভয় দলের অংশগ্রহণে হলে গণতন্ত্র আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। ক্ষমতা পরিবর্তনের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ উপায় ব্যালট পেপার। জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচন কমিশন বিশ্বাসী। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী। আশা করি, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নতুন মেয়ররা ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশ থেকে জঙ্গি নির্মূল করে গরিব, অসহায়, মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন।

খোকন আহমেদ মারুফ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হোক তা আমরা চাই, যাতে সরকার আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে ।
বিপদ ভঞ্জন বিশ্বাস
চাকরিজীবী, মিরপুর, ঢাকা
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিএনপিকে ধন্যবাদ। কোনো দেশের গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। বর্তমান সরকারের অধীনে বিগত দিনে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন স্বচ্ছভাবে হয়েছে এবং সেসব নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছে। কোনো নির্বাচনেই বিএনপি কারচুপির অভিযোগ আনেনি। এ চার সিটি করপোরেশন এবং আগামী সংসদ নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করি। তাই বিএনপিকে অনুরোধ, তারা যেন হরতাল দিয়ে দেশের ক্ষতি না করে আগামী দশম সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
মো. ফখরুল ইসলাম টিপু
শিক্ষার্থী, সেনবাগ, নোয়াখালী
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন সরকারের জন্য অগি্নপরীক্ষা আর বিরোধী দলের সামনে সুযোগ। সরকারের শাসন কর্মকাণ্ডের ব্যর্থতা, সংলাপ নিয়ে দ্বিমুখী আচরণ এবং শক্তি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে জনগণের কাছে ব্যাপক জনসংযোগের মাধ্যমে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়লাভ করে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার সুযোগ বিরোধী দল যেন হাতছাড়া না করে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে স্বচ্ছ এবং সুন্দর নির্বাচন আশা করি।
চৌধুরী আরিফুজ্জামান
সাবেক ছাত্রনেতা, গোপালগঞ্জ
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন সরকারের নতুন কোনো চাল নয় তো? সরকার এগুলোর অধিকাংশে বিএনপিকে জিতিয়ে দিয়ে বলবে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিচ্ছে। আর এতে উৎসাহী হয়ে বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে।
মো. শেখ সাদী
শিক্ষার্থী, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে জনগণের দৃষ্টি। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, এটা নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যে অনেক প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করা উচিত। সর্বোপরি নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, এটাই সবার কাম্য।
মো. ইয়ার উদ্দিন শেখ
ব্যবসায়ী, আলদিপুর, রাজবাড়ী
রোববার সমকালের সংবাদে দেখা গেল, আচরণবিধি মানছেন না প্রার্থীরা। এ ছাড়া এমপি-মন্ত্রীরা প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। যেন নির্বাচন কমিশন অসহায়। এ অবস্থায় স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চার সিটিতে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হোক।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
চার সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অবশ্যই সরকারের জন্য একটি টেস্ট স্বরূপ। নির্বাচন কমিশনের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের ধারণা, যেসব সেনসেটিভ কেন্দ্র আছে সেগুলোতে অধিক পুলিশ সদস্য নিয়োগ করতে হবে এবং ভোটাররা যাতে কোনো রকম হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার প্রবণতা রোধ করতে হবে। অধিক হারে মোবাইল টিম চালু করতে হবে, যাতে কোনো রকম উচ্ছৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি না হয়।
আমিনুল হক মতিন
অধ্যাপক, ডিগ্রি কলেজ, নাটোর
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণই তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন তার অসারতা প্রমাণ করে। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তা আবার প্রমাণিত হবে।
শামীম হাসান
শিক্ষার্থী, হরিসভা, ফরিদপুর
নির্বাচন কমিশনের কাছে বিশেষ অনুরোধ, নির্বাচনে যেন দলীয় প্রভাব খাটানো না হয়। দেশের মানুষের দৃষ্টি এখন এ নির্বাচনে।
আরিফুর রহমান আরিফ
শিক্ষার্থী, সেনবাগ, নোয়াখালী
আমি আশা করি, বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত অতীতের স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর মতো আগামী দিনের চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য। যার ফলে দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন থাকবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ
শিক্ষার্থী, জিআর কলেজ, সিরাজগঞ্জ
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হোক। সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সরকার ও বিরোধী দলের রাজনীতিকরা যেন নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন না করেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই প্রমাণ হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন হোক। এখানে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, আচরণবিধির লঙ্ঘন যাতে না হয়। ক্ষমতার জোরে যেন ভোটারদের হুমকি-ধমকি না দেওয়া হয়। সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে যোগ্য প্রার্থীরাই ভোট পাবেন।
রুবেল মাহমুদ
শিক্ষার্থী, গোপালগঞ্জ
সিটি করপোরেশন নির্বাচন কালো টাকা ও দলীয় শক্তির প্রভাবমুক্ত থাকুক।
শাহীন হাসনাত
মুক্ত সাংবাদিক, টঙ্গী, গাজীপুর
সারাদেশের মানুষ এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন বিগত নির্বাচনগুলোর মতো এই নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করুক_ এটাই আমাদের প্রত্যাশা। হরতাল, ভাংচুর বাদ দিয়ে বিএনপি এই নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করছে। এজন্য তাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমরা চাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করুক। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা যে আচরণবিধি মানছেন না তা গতকালের সমকালের প্রধান শিরোনামই জানান দিয়েছে। সমকালে 'আচরণবিধি মানছেন না প্রার্থীরা' বলে যে খবর বেরিয়েছে তা বেশ উদ্বেগজনক। এর চেয়ে বেশি উদ্বেগজনক খবর হলো_ 'নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব।' আসলে চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে যেভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারা যায় না। নির্বাচন কমিশনের উচিত উত্থাপিত অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে সেগুলোর ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। দেশবাসী মনে করছে আসন্ন সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচন সরকার ও নির্বাচন কমিশন উভয়ের জন্যই এসিড টেস্ট। এসব নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়ার ওপর নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই। এই নির্বাচন কমিশনের ওপর বিরোধী দলের আস্থা নেই বলে ইতিপূর্বে তারা অনেক নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনকে বিরোধী দলের আস্থা অর্জন করতে হলে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনগুলো যথার্থ নিরপেক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে পরিচালনা করতে হবে। শুধু নির্বাচনপূর্ব প্রচারকাজে অনিয়মই নয়, নির্বাচনের দিন ভোটাররা যাতে ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাও নিশ্চিত করতে হবে। ভোটের ফলাফল ঘোষণায় যে কোনো ধরনের কারচুপি রোধ করতে হবে। এক কথায়, পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনকে এগোতে হবে অত্যন্ত সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে। সরকারেরও উচিত হবে প্রভাবমুক্ত অবস্থায় সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা করা। না হলে বিরোধী দলের অভিযোগই সত্য প্রমাণিত হবে। নির্বাচন কমিশন এবার বিরোধী পক্ষের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হলে তা দেশের জন্য ও গণতন্ত্রের জন্য হবে মারাত্মক হুমকির কারণ।
তানজিলা সুলতানা লাকি
শিক্ষার্থী, হবিগঞ্জ
বর্তমান সরকারের অধীনে সব নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়েছে। চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমি আশাবাদী। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে বলে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা কোথায়?
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, রাজশাহী
জনগণ আশা করছে, চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় হতে হবে। নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা কাম্য নয়।
রিমা তালুকদার
শিক্ষার্থী, হবিগঞ্জ
আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। সুতরাং সরকার চাইবে তাদের প্রার্থীরা জয়ী হোক। পাশাপাশি সরকার চাইবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে। যদি সরকারের প্রার্থীরা জয়ী না হয় তাহলে সরকার ইমেজ সংকটে পড়বে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে সরকারের বিপর্যয় হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে বিএনপির সব নেতাকর্মীকে মুক্তি দেওয়া হোক।
শেখ মোহাম্মদ আলী
ব্যবসায়ী, তালতলা বাজার, মুন্সীগঞ্জ
১৫ জুন চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন। সেখানকার জনগণের বাইরেও গোটা দেশ এ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। এ নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হয়, কারা জিতে সেটা দেখার বিষয়। কারণ এর ওপর নির্ভর করছে আগামী সংসদ নির্বাচন কতটা স্বচ্ছ হবে। আমাদের আশা, কোনোভাবেই যেন নির্বাচনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। আমরা একটা সফল নির্বাচন দেখার অপেক্ষায়।
মো. সুজন হাওলাদার
ব্যবসায়ী, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার
আমাদের সিলেটের নির্বাচন সুষ্ঠু হোক।
সত্যজিৎ রায়
ব্যবসায়ী, গলাচিপা, পটুয়াখালী
সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। এর মাধ্যমে যেন যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হন।

No comments

Powered by Blogger.