বরিশাল সিটি নির্বাচন সমন্বয় ছাড়া কাজ করছে তিন দপ্তর by সাইফুর রহমান

নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে গঠিত দলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ।
তবে পুলিশ প্রশাসন ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওই তিন বিভাগ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ৬০টি কেন্দ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে তা জানানো হয়নি।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যবেক্ষণে ১৫ জন নির্বাহী হাকিম নিয়ে সাতটি দল গঠন করা হয়েছে। তারা কখন কীভাবে কাজ করছে, তার পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য জেনে নিচ্ছে। তিন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন কার্যালয় জানায়, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর প্রচারণা শুরু হলে মেয়র পদপ্রার্থী আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে প্রথম লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়। মেয়র পদপ্রার্থী শওকত হোসেনের পক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় উসকানি এবং ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগ আনা হয়। এ ব্যাপারে ওই প্রার্থীকে সতর্ক করা হয়।
অন্যদিকে পুলিশে রদবদল চেয়ে ঢাকায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক প্রার্থী আবেদন করেন। তবে সেখানে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি। নির্বাচনী ক্যাম্পে টেলিভিশন ব্যবহারের অভিযোগে গত শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা, ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে কিছুটা সমন্বয়হীনতা রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের গত ২৯ মে থেকে মাঠে থাকার কথা। বাস্তবে ২ জুন প্রথম কাজ করেছে বলে জানি। এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসনে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তারা কিছু ভোটকেন্দ্র নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
পুলিশ কমিশনার মো. সামসুদ্দিন বলেন, ‘সমন্বয়হীনতার অভিযোগ সঠিক নয়। নির্বাচন কমিশন থেকে কিছু জানতে চাইলে আমরা জানাচ্ছি। ৬০টি কেন্দ্রের তালিকা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।’
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম মো. সাদেকুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন মাঠে যাচ্ছি। আমরা আমাদের তথ্য জেলা হাকিমের কাছে জমা দিই। নির্বাচন কমিশনে জানানোর কিছু নেই। তবে তাঁরা চাইলে জেনে নিতে পারেন।’

No comments

Powered by Blogger.