প্রতিবাদের মুখে সড়কের কাজ বন্ধ

নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করার অভিযোগে স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে রংপুর সিটি করপোরেশন একটি সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে কিছু অংশে খোয়া বিছানো থাকায় ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এই নির্মাণকাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সিটি করপোরেশনের উপসহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ঠিকাদারকে ৩১ মে চিঠি দিয়ে আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ঠিকাদারের সঙ্গে পরে আলোচনা করে কাজ শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, নগরের বুড়িরহাট সড়কের নিয়ামতপাড়া থেকে বানিয়াপাড়া পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ শুরু হয় গত ১৪ মে। ব্যয় ধরা হয় ২৩ লাখ ২০ হাজার ৯৩৯ টাকা। দরপত্র অনুযায়ী ওই সড়কে পিকেটের খোয়া ব্যবহারের কথা থাকলেও সেখানে নিম্নমানের এবং সাধারণ ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করছিলেন ঠিকাদার। সড়কের প্রায় দেড় শ মিটার অংশে খোয়া বিছানোর পর গত ৩০ মে স্থানীয় জনগণ নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের প্রতিবাদ করেন। এতে ঠিকাদারের পক্ষে একটি সংঘবদ্ধ দল তাঁদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন আহত হন। ওই দিনই সড়কের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাবুদ্দিন জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পৃথক দুটি মামলা করেছে। ঠিকাদারের পক্ষে মামলার বাদী এবং ঠিকাদারের খোয়া-বালু সরবরাহকারী খতিবর রহমান বলেন, ‘ঠিকাদারের চাহিদা অনুযায়ী সেখানে মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় জনগণ কাজে বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষ বাধে। এখানে আমি নিজেও আহত হয়েছি।’ অবশ্য ঠিকাদার রাশেদুল হক বলেন, ‘দরপত্র অনুযায়ী খোয়া ও বালু সরবরাহের জন্য একজনকে দায়িত্ব দিই। তিনি সেখানে নিম্নমানের খোয়া সরবরাহ করেছেন। বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে ভালোভাবে কাজ করা হবে।’
নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদকারী এবং পাল্টা মামলার বাদী স্থানীয় লুৎফর রহমান বলেন, ‘চোখের সামনে এত নিম্নমানের কাজ হওয়ায় আমি প্রতিবাদ করেছি। এখানে আমার সঙ্গে এলাকাবাসীও ছিল। আমরা চাই ভালো কাজ হোক।’ নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশেক আলী বলেন, ‘আমি সরেজমিনে দেখেছি। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছি।’ খোয়া অত্যন্ত নিম্নমানের বলে তিনিও অভিযোগ করেন।

No comments

Powered by Blogger.