হ্যাটট্রিকে মেসির জবাব

ফিফা-ব্যালন ডি’অর যোগ্যতম খেলোয়াড়টির হাতেই উঠেছে কি না, এ নিয়ে হালকা একটা বিতর্ক জমে উঠছিল। কিন্তু সেটি মেসির ভালো লাগবে কেন? বিতর্ক থামিয়ে দিতেই যেন স্পেনে ফিরে এক দিন পর মাঠে নেমেই হ্যাটট্রিক!
গত পরশু রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে কিংস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বার্সেলোনা জিতল ৫-০ গোলে। সব মিলে টানা ২৭ ম্যাচ ধরে অপরাজিত বার্সা। রোববার লিগে মালাগার বিপক্ষে না হারলে টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার নতুন ক্লাব রেকর্ড হয়ে যাবে। ৩৭ বছর আগে রাইনাস মিশেলসের বার্সেলোনা অপরাজিত ছিল টানা ২৭ ম্যাচ।
গত নভেম্বর থেকে এ নিয়ে সাত ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে কমপক্ষে চারটি গোলও দিল বার্সেলোনা। পরশু নিজেদের মাঠে অবশ্য প্রথম গোলটি পেতে ৪৪ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। প্রথমটির মতো ৬২ ও ৭৩ মিনিটে দলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় গোলটিও মেসির। শেষ দুটি গোল পেদ্রো ও কেইতার।
মুখে যতই না না করুন, লিগের গত ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানোর রোনালদোর হ্যাটট্রিকের পাল্টা জবাবই হয়তো দিয়ে রাখলেন মেসি। মোট গোলসংখ্যায় টপকে গেলেন রোনালদোকেও। ২৭ ম্যাচে রোনালদোর গোল ৩০টি। সমান ম্যাচে মেসির একটি বেশি। হ্যাটট্রিকের সংখ্যায় রোনালদো অবশ্য এগিয়ে। এই মৌসুমে রোনালদোর হ্যাটট্রিক চারটি, মেসির তিনটি।
বার্সা-সতীর্থদের কাছে অবশ্য মেসি-রোনালদো আলোচনার কোনো দামই নেই। তাঁদের কাছে মেসির শ্রেষ্ঠত্ব যেন তর্কের ঊর্ধ্বে। মেসির বর্ষসেরা হওয়া নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে, সেটি পরশুই শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করছেন দলের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানি আলভেজ, “এই ম্যাচ ব্যালন ডি’অর নিয়ে ওঠা বিতর্ক শেষ করে দেবে। পুরস্কারটা ঠিক হাতেই উঠেছে। মেসিই সেরা। প্রতিনিয়তই সে এটা প্রমাণ করে যাচ্ছে। তবে অন্য দুজনও এই পুরস্কারের যোগ্য। তবে এটা পরিষ্কার, মেসি অন্যদের চেয়ে আলাদা।” মেসি বড় সমর্থক হিসেবে পেয়েছেন পেপ গার্দিওলা আর লুইস ফিগোকেও।

No comments

Powered by Blogger.