সব রোনালদিনহোর জন্য.

একজন, দুজন করে ভিড়টা বাড়তেই থাকে। বাড়তে বাড়তে পৌঁছায় হাজার কুড়িতে। রিও ডি জেনিরোয় ফ্ল্যামেঙ্গোর সদর দপ্তরটা হয়ে ওঠে জনারণ্য। হয়ে ওঠে মুখরিত। থেমে থেমে বাজতে থাকে সাম্বার তাল, চলতে থাকে সাম্বা নাচ।
ব্রাজিলের ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোয় পরশুর এই আয়োজন ছিল শুধু একজনের জন্য। সেই একজন রোনালদিনহো। চুক্তির কাজ আগেই শেষ হয়েছে, এদিন ফ্ল্যামেঙ্গোয় পা রেখেছেন এসি মিলানে সদ্যই সাবেক হয়ে যাওয়া প্লে-মেকার। পরশুই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থকদের সামনে হাজির হলেন ‘ফ্ল্যামেঙ্গোর রোনালদিনহো’।
ভক্ত-সমর্থকেরা রোনালদিনহোকে বরণ করে নিতে সাম্বার তালে গাইল, নাচল। অনেকেই গিয়েছিল রোনালদিনহোর মুখোশ পরে। অনেকের গায়ে ফ্ল্যামেঙ্গোর লাল-কালো ডোরাকাটা জার্সি।
সমর্থকদের এভাবে আবেগে উছলে পড়তে দেখে, তাঁর নামে স্লোগান দিতে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রোনালদিনহো, ‘ফ্ল্যামেঙ্গোকে যতটা ওপরে তোলা সম্ভব, আমি তা-ই করতে চাই। যত সম্ভব ট্রফি জিততে চাই। সমর্থকদের এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চাই। চাই আনন্দের উপলক্ষ এনে দিতে।’
২০০৩ সালে প্যারিস সেন্ট জার্মেই থেকে বার্সেলোনায় নাম লেখানোর পরও ঠিক একই কথা বলেছিলেন। কথাও রেখেছিলেন। পাঁচ বছর ছিলেন বার্সেলোনায়। স্প্যানিশ ক্লাবটিকে জিতিয়েছেন দুটি লা লিগা ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ।
সেই সময় আর নেই রোনালদিনহোর। নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন অনেক দিন থেকেই। রোনালদিনহো কি পারবেন? পারতেই হবে! এই পারার ওপর যে নির্ভর করছে তাঁর আরেকটি স্বপ্ন, ‘ব্রাজিলকে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ এনে দিতে চাই। অন্য অনেকের মতো ক্যারিয়ারে যতি টানতে ব্রাজিলে ফিরিনি আমি।’

No comments

Powered by Blogger.