দুই মেরুতে

বিশ্বকাপ জিতেছে দু দলই। বাছাইপর্বে খোঁড়ানোর পরও দু দলই বিশ্বকাপ শুরু করেছিল স্বপ্ন নিয়ে। মিল এখন পর্যন্ত এটুকুই। আজ ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা যখন যার যার দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে, তখন দু দল একেবারেই ভিন্ন মেরুতে দাঁড়িয়ে।
প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা মাত্র এক গোলের জয় পেলেও দলটির চেহারাই বদলে গেছে পারফরম্যান্সের কারণে। আত্মবিশ্বাসে টগবগ করতে থাকা আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি স্বভাববিরুদ্ধ ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের খেলা খেললে বিশ্বকাপে আর কেউ তাদের আটকাতে পারবে না। উল্টো, প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের সঙ্গে ড্র করে আরও হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে ফ্রান্স।
দ্বিতীয় পর্বে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে ফ্রান্সের আজ মেক্সিকোর বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই। ওদিকে আবার কোচ রেমন্ড ডমেনেখের রণপরিকল্পনা ও প্রথম একাদশ নিয়ে দলের ভেতর অসন্তোষের গুঞ্জন আছে। যদিও ডমেনেখের দাবি, মেক্সিকোর বিপক্ষে জয়টা পেতে তাঁর খেলোয়াড়েরা মরিয়া হয়ে আছে, ‘খেলোয়াড়েরা এই ম্যাচ খেলতে আর ধৈর্য ধরতে পারছে না। যদিও মেক্সিকো খুবই ভালো দল। যখন তারা গতি বাড়ায়, বলের ওপর কর্তৃত্ব নিয়ে নেয়; প্রতিপক্ষ যত ভালোই হোক, তাদের ওরা নড়বড়ে করে দিতে পারে। আমাদের জন্য খুব জরুরি হলো, ওদের বলের ওপর কর্তৃত্ব করতে না দেওয়া।’
ফ্রান্সকে সাত-পাঁচ অনেক কিছু ভাবতে হলেও আর্জেন্টিনা আছে সুবিধাজনক অবস্থায়। আজকের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও, আর্জেন্টিনার জন্য এমন কিছু হুমকি হয়ে ওঠার মতো দল নয়। আর আর্জেন্টিনা তো এখন কাউকে হুমকিই মনে করছে না!
প্রথম ম্যাচে আক্রমণভাগ, বিশেষত লিওনেল মেসি দুর্দান্তভাবে জ্বলে ওঠায় কোচ ম্যারাডোনা অনেক নির্ভার। দক্ষিণ কোরিয়াকে ছাড়িয়ে এখনই ট্রফিতে চোখ চলে গেছে মেসিদের।
আর্জেন্টিনার হয়ে সেই কথাটাই বলে দিলেন কার্লোস তেভেজ, ‘আর্জেন্টিনার জন্য ভালো বিশ্বকাপ মানে, বিশ্বকাপ জেতা। এর কম কিছু করতে আসিনি আমরা। আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলাম বা শেষ ষোলোতে—এসবে কিচ্ছু যায় আসে না।’
তার মানে তেভেজদের লক্ষ্য ফাইনাল!

No comments

Powered by Blogger.