দুর্নীতি নেবে গো, দুর্নীতি! by মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন

ভদ্রলোকের বয়স ষাট-একষট্টি বছর। দু’বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে রিটায়ার করেছেন। তার সঙ্গে আমার প্রায় ১২-১৪ বছরের পরিচয়। তার জ্ঞানগর্ভ কথা আমাকে মুগ্ধ করে। আরও মুগ্ধ করে তার রাজনৈতিক দর্শন। তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না হয়েও চমৎকার রাজনৈতিক দর্শনের প্রবক্তা। একবার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে অন্য একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের তুলনা করায় ১০-১২ জন মানুষের সামনে তিনি স্পষ্ট উচ্চারণে বলেছিলেন, ‘আপনারা কেন যে এভাবে তুলনা করেন। শেখ হাসিনা পারিবারিকভাবে যে রাজনৈতিক ঐতিহ্যের অধিকারী, তার সঙ্গে অমুকের তুলনা চলে না। তিনি তার জায়গায়, আর শেখ হাসিনা তার জায়গায়।’ সেদিন ভদ্রলোককে আরও ভালো লেগেছিল। কারণ তিনি কাউকে খাটো না করেই শেখ হাসিনাকে আলাদা মর্যাদায় সমাসীন করেছিলেন। সেই তিনিই কয়েকদিন আগে বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু কথা বললেন। কারণ, তারই এক বন্ধু তার সারা জীবনের সঞ্চিত পেনশনের মোট ৭০ লাখ টাকা থেকে গত বছর ৫০ লাখ টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন, যার মূল্যমান এখন ৩০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভদ্রলোকের ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ, বন্ধুটি তার কথাতেই পুঁজিবাজারে নেমেছিলেন। ভদ্রলোক তার বন্ধুকে বলেছিলেন, ‘আমাদের পুঁজিবাজার খুবই সম্ভাবনাময়। সঠিক পথে চলতে ও চালাতে পারলে এর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে।’ তিনি নিজেও পুঁজিবাজারে একজন বিনিয়োগকারী। এ বিষয়ে তিনি প্রায়ই আমেরিকার ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটের উপমা টানতেন। ওয়ারেন বাফেট নাকি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমেই প্রথম প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। তাই তার জীবনী তিনি প্রায়ই আমাদের শোনাতেন। এ ছাড়া আরও বলতেন, আমাদের এ বয়সে টাকা থাকলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করাই ভালো। কারণ এখন ব্যবসা শুরু করা সম্ভব নয়। সে বয়স নেই। আর ব্যাংকে টাকা ফেলে রাখারও পক্ষপাতী নন তিনি। তার চেয়ে দেখে-শুনে-বুঝে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকেই তিনি উৎসাহিত করতেন। বলতেন, ৫০-৬০ লাখ থেকে শুরু করে ৫০-৬০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগেও কোনো কারখানা-ফ্যাক্টরি লাগে না, গুদামঘর লাগে না। আর তার কথাতেই তার বন্ধুর ৫০ লাখ টাকা এখন ৩০ লাখে পরিণত হয়েছে। অথচ তার বন্ধুটি ভালো ভালো কোম্পানি, যেসব কোম্পানির পিই রেশিও, এনএভি, ইপিএস ভালো এবং উদ্যোক্তারাও ভালো, সেসব দেখেই শেয়ার ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেসব কোম্পানিই বেশি করে দর হারিয়েছে। অন্যদিকে বাজে-খারাপ কোম্পানি যারা কোনোদিনই ডিভিডেন্ড দেয় না, পিই রেশিও রেকর্ডযোগ্য নয়, অর্থাৎ পিই নেই, এক বছরে সেসব কোম্পানির ৩-৪শ’ পার্সেন্ট মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে! এ অবস্থায় ভদ্রলোক ক্ষিপ্ত হয়ে এসবের কারণ হিসেবে ডিএসই, এসইসি,
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অর্থ মন্ত্রণালয়কে তুলাধোনা করলেন। খারাপ ও বাজে কোম্পানির দরবৃদ্ধির জন্য তিনি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘ওইসব সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবের নামে তারা বিও অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে কারসাজি করেন। আর ভালো কোম্পানিতে কারসাজির সুযোগ না থাকায় তারা এ ক্ষেত্রে খারাপ কোম্পানিকে বেছে নেন। ছোট ছোট এসব কোম্পানির শেয়ারমূল্যকে প্রভাবিত করে তারা এসব করে থাকেন। এ ছাড়া ডিএসই, এসইসির আরও অনেক দুর্নীতির কথা তিনি জানালেন। ডিএসইর কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রসঙ্গ টেনে বললেন, সেখানেও চীন ও ভারতের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। এ ক্ষেত্রে তারা কে কোনভাবে লাভবান হবে, ডিএসই ও এসইসির কর্তাব্যক্তিরা কতটা সুবিধা পাবেন সেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। অন্যথায় ডিএসইর প্রস্তাবনাকে চ্যালেঞ্জ করে এসইসি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি না করে একটি মিটিংয়ের মাধ্যমে তা ফয়সালা করতে পারত। কিন্তু তা না করে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করায় বিষয়টি যাতে সহজে ফয়সালা না হয় এবং ভারত ও চীন উভয়েই যাতে তাদের তোষামোদি করে তজ্জন্য বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মোটকথা, ডিএসই ও এসইসির কর্তাব্যক্তিরাও দুর্নীতির প্রতিযোগিতায় আছেন! ফলে দেশের পুঁজিবাজার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। উপরোক্ত দুটি প্রতিষ্ঠানে সৎ, যোগ্য ও দক্ষ লোকের অভাব আছে। পুঁজিবাজার ধ্বংসের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং অর্থমন্ত্রীকেও তিনি দোষারোপ করলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক এডিআর কমানোর ফলে পুঁজিবাজারে ধস নেমেছে, এই তার অভিযোগ। বেসিক ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ইত্যাদি ব্যাংকে যেসব তুঘলকি কাণ্ড চলছে- এত বড় দুর্নীতি বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনও হয়নি বলেও তিনি জানালেন। আমি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষে-বিপক্ষে লিখব বলে কলম ধরিনি। দেশে দুর্নীতি নিয়ে যেসব আলোচনা-সমালোচনা চলছে সে বিষয়ে সরকারের অবিমৃষ্যকারিতার কারণেই যে এ বিষম সর্বনাশ ঘটে চলেছে তার ওপর কিছুটা আলোকপাত করাই আজকের লেখাটির উদ্দেশ্য। স্থানাভাবে এ বিষয়ে আরও কিছু ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েই লেখাটি শেষ করব।
২.রাস্তাঘাট-ব্রিজ-কালভার্ট-ফ্লাইওভারসহ অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দুর্নীতি নিয়ে দেশের মানুষকে অধিকতর সোচ্চার দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রায় প্রতিটি বড় প্রকল্পেই নির্মাণ সময়ের মধ্যে থেমে থেমে নির্মাণ ব্যয় দুই-তিন গুণ বাড়িয়ে নেয়ার প্রবণতাকে জনগণ খুব খারাপ দৃষ্টিতে দেখছেন। কোনো কোনো রাস্তাঘাট নির্মাণের ছয় মাস-বছরের মধ্যেই তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে, সেসব নিয়েও প্রচুর কথাবার্তা হচ্ছে। দেড়-দুই বছর আগে সাভার-আশুলিয়া ইপিজেড হয়ে চন্দ্রা পর্যন্ত নির্মিত চার লেনের রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বিটুমিন উঠে অনেক স্থানেই গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সেসব স্থান যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওই রাস্তাটি নির্মাণের সময় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মাঝে-মধ্যে তদারক করেছেন। কিন্তু সেখানেও নির্মাণকাজে ফাঁকি দেয়া হয়েছে। নিুমানের মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ দুর্নীতি করা হয়েছে। বলা বাহুল্য, স্বয়ং মন্ত্রী সাহেবও সে দুর্নীতি রুখতে পারেননি। এটি একটি উদাহরণ মাত্র। রাস্তাঘাট নির্মাণের ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি সারা দেশেই হয়েছে এবং হচ্ছে। ব্যয় বরাদ্দের অর্ধেক টাকারও কাজ হচ্ছে না! সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, এলজিইডি ইত্যাদি বিভাগে দুর্নীতির পরিমাণ আরও বেশি। অতি সম্প্রতি পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, ‘২১টি প্রকল্পে ৪৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হলেও এখন পর্যন্ত কাজ কিছুই হয়নি।’ দাবিটি অবশ্য পত্রিকার নয়। এ দাবি করেছেন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। এ অবস্থায় দুর্নীতির ব্যারোমিটার কোথায় ঠেকেছে সে বিষয়টি সরকার ভেবে দেখতে পার ে।
৩. ব্যাংক জালিয়াতি এবং ব্যাংক ডাকাতির বিষয়টি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকের লোক দেখলেই মানুষ তাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন। সেদিন হাঁটার সময় একজন বড় ব্যবসায়ী একটি ব্যাংকের এমডিকে দেখিয়ে বললেন, গত বছর এই এমডি সাহেব তার কাছ থেকে একটি গাড়ি ঘুষ নিয়েছেন! হাঁটার দলে আমরা যে ক’জন ছিলাম, তাদেরই একজন বলে বসলেন, ‘আস্ত একটা গাড়ি গিলে ফেলল, বাপরে, কত্তো বড় পেট!’ অথচ এসব ব্যাংকেই সাধারণ মধ্যবিত্ত-নিুবিত্তের মানুষকে সামান্য কারণে নাজেহাল করা হয়। একজন মুক্তিযোদ্ধার মাসিক সম্মানীবাবদ ১০ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা হলে সেখান থেকে তিনি ১০ হাজার তো দূরে থাক, সাড়ে ৯ হাজার টাকাও তুলতে পারেন না। তাকে সেখানে ১ হাজার টাকা ফেলে রেখে ৯ হাজার টাকা তুলতে হয়। কারণ সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নির্দেশ জারি করেছে, কমপক্ষে ১ হাজার টাকা লিয়েনে রাখতে হবে। সোনালী ব্যাংকের এই তামাশা বাংলাদেশ ব্যাংক বা অর্থ মন্ত্রণালয় জানে কিনা, তা আমরা বলতে পারব না। ৫ টাকা বা ৫০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার অনুমতি দিয়ে ১ হাজার টাকা লিয়েনে রাখার তামাশা করার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকই ভালো বলতে পারবে। কিন্তু দুঃখের কথা হল, হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে একজন গরিব মানুষকে ১ হাজার টাকা লিয়েনে রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে। আবার একজন গৃহিণী একটি ব্যাংকে ৬৫ হাজার টাকার চেক পাঠালে ব্যাংকে তার স্থিতি থাকা সত্ত্বেও, স্বাক্ষর মেলা সত্ত্বেও টেলিফোন করা হচ্ছে এবং সেই টেলিফোন তার স্বামী রিসিভ করে, যিনি হিসাবটির নমিনিও বটে, তিনি সবকিছু বলা সত্ত্বেও ওই গৃহিণীকে ডেকে তার হাতে টেলিফোন দিয়ে বলানোর পর সেই টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রশ্ন হল, তাহলে ব্যাংকে এত বেশি জাল-জোচ্চুরি-লুটপাট কেন? একজন ম্যানেজার নগদ টাকা ঘুষ পেলে, একজন এমডি গাড়ি পেলে যেখানে ব্যাংকের ভল্ট খুলে দেয়া হচ্ছে, পক্ষান্তরে একজন মুক্তিযোদ্ধার ১০ হাজার টাকার ক্ষেত্রে, একজন গৃহিণীর ৬৫ হাজার টাকার ক্ষেত্রে নিত্যনতুন ফরমান দেখানোর কারণ কী? ব্যাংকের দুর্নীতি কত প্রকার ও কী কী তা কি আরও উদাহরণসহ বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন আছে? স্থানাভাবে আর বেশি কিছু না বলে উপসংহারে যা বলতে চাই তা হল- বর্তমান সময়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এ দুই আমলের দুর্নীতি নিয়েই সাধারণ মানুষ চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছেন। আগেই বলেছি, দুর্নীতির বিষয়টি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। সবার মুখে এখন একই আলোচনা- দুর্নীতি, দুর্নীতি, দুর্নীতি! তাই দেশের বড় দুটি দলের জন্য এসব আলোচনা-সমালোচনা একটি অশনিসংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ জনগণ দুটি দলকেই দুর্নীতিবাজ বলছেন। কথাটি হয়তো সরকারি দলের কানে ঢুকছে না, এই যা! কারণ এ দেশে সরকার বলতে হচ্ছেন সরকারপ্রধান এবং দল বলতে হচ্ছেন দলীয়প্রধান! আর সরকারপ্রধান ও দলীয়প্রধানগণ সব সময়ই একশ্রেণীর খাস তোষামোদকারী দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকেন। তারা তাদের চারদিকে এমন বলয় তৈরি করে রাখেন যে আসল কথা যেন সরকারপ্রধান বা দলীয়প্রধান জানতে, শুনতে বা বুঝতে না পারেন। কারণ এতে করে ওইসব তোষামোদকারীর ক্রেডিবিলিটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমরা অনেকটাই নিশ্চিত যে কোনো সমালোচনাই সরকারপ্রধানের কাছে পৌঁছায় না। এমনকি এ লেখার বিষয়টিও পৌঁছাবে না। পৌঁছাবে শুধু স্তুতি। সামনে দেশে জাতীয় নির্বাচন। আর এ মুহূর্তে যা লক্ষ করা যাচ্ছে তাতে করে আবারও সেই রাজনীতি করে খাওয়া লোকজনকেই বড় দুটি দল জনগণের সামনে উপস্থাপিত করতে যাচ্ছে। দলীয় আদর্শ ও নীতির প্রতি অবিচল নিষ্ঠার নামাবলি গায়ে দেয়া ওইসব নেতাই আবার ভোট চাইতে মাঠে নামছেন। সারা দেশের দুর্নীতি যাদের দ্বারা বিন্দুমাত্র কমেনি, নতুন করে তারাই জনগণের সামনে উপস্থিত হতে যাচ্ছেন। দারুণভাবে দলীয় কর্মকাণ্ডে জড়িত, দারুণভাবে দলীয় নেতা-নেত্রীর ভক্ত, আবার একই সঙ্গে আরও দারুণভাবে ঘুষ-দুর্নীতি, চুরি-চামারির সঙ্গে সম্পৃক্ত- রাজনীতি করে খাওয়া ওইসব ব্যক্তিই আবার জনগণের সামনে ভোট চাইতে যাবেন, এটাই বাস্তব সত্য। কারণ রাজনীতির মাঠ থেকে কামানো অর্থ তারা একা খান না। দলবাজি করে কামানো টাকার কিছুটা দলের উপরের দিকেও তারা বিলিবণ্টন করেন। তাই বড় দুটি দল আবারও ওইসব নেতাকে ঝাঁকায় তুলে জনগণের সামনে তাদের উপস্থিত করে বলবেন, ‘দুর্নীতি নেবেন গো, দুর্নীতি’। এ মুহূর্তে আপাতত সেটাই স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। কারণ দেশের ভালো মানুষ, জ্ঞানী-গুণী-পরোপকারী মানুষ রাজনীতি থেকে নির্বাসিত। এ শ্রেণীর মানুষ ওই পথে পা বাড়ালে তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়, ঠেঙিয়ে পা ভেঙে দেয়া হয়।
মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন : কবি, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট

No comments

Powered by Blogger.