ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতেই নির্বাচন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। তিনি গতকাল নাসিরনগর উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন- আপনাদের সেখানে (একাদশ সংসদ নির্বাচন) দায়িত্ব পালন করতে হবে। এটা (উপনির্বাচন) একটা মহড়ার মতো। গতকাল সকালে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে উপনির্বাচনে দায়িত্বপালনের জন্য নিয়োগকৃত পোলিং অফিসারদের দু-দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন নিয়োগকৃত এক হাজার ১৬৬ জনকে নির্দেশনামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এখানে। প্রথম দিনে ৭২৮ জন পোলিং অফিসারের প্রশিক্ষণ নেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আপনারা এর আগে অনেকেই পুলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ভবিষ্যতে আপনারা আরো দায়িত্ব পালন করবেন। বিভিন্ন পরিসরে নির্বাচন হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। এগুলাতেও আপনাদের সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন। এটা আপনাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং এটি সংবিধানের একটা অংশ। ভোট গণনার ব্যাপারটি নিয়ে কিন্তু সবসময় অভিযোগ আসে। যারা পরাজিত হয় তারা প্রায়ই বলে আমাদের এজেন্ট ছিল না। ভোট গণনা ঠিকমতো হয়নি। ভোটার আসবে ভোটার যাবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে। আপনাদের দায়িত্ব হলো ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে সঠিকভাবে ভোটটি দেয়ার ব্যাপরে নিশ্চিত করা। ভোটটি বাক্সের মধ্যে ঠিকমতো পড়ল কিনা তা নিশ্চিত করা। অনেকক্ষণ সময় নষ্ট করল কিনা সেটি দেখা। আমি খুশি হয়েছি এখানে মহিলার সংখ্যা বেশি দেখে। আপনারা ভালোভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন। আপনারা ভালোভাবে নির্বাচন পরিচালনা করলে আমারও সুনাম। আপনারা ব্যর্থ হলে আমি ব্যর্থ। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, আঞ্চলিক নিবার্চন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.