কুষ্টিয়ায় আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত ১ : আহত ৬

কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে শাহাবুদ্দিন আহমেদ শাহিন (২৮) নামে এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাহিন আমলা এলাকার শাহার আলীর ছেলে। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, আমলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল মালিথা কয়েকটি দেশ সফর শেষে এলাকায় ফিরলে তার সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় সমর্থকরা আমলা বাজারে যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনের সমর্থকরা মালিথার সমর্থকদের তাড়া দিলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলি ও বোমার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৬ রাইন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত হন ৭ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত শাহিনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত আতিয়ার রহমান, শাহার আলী ও সাইদুল ইসলামসহ কয়েকজনকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ সাইদুলের অবস্থাও গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাসিমুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শাহিন মারা যান। তার ঘাড়ে বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল মালিথা বলেন, আমার সংবর্ধনা মিছিলে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা হামলা চালায়। এতে আমার একজন কর্মী মারা যান, কয়েকজন কর্মী আহত হন। উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন বলেন, যারা আমার ওপর বোমা হামলা চালিয়েছিল সেইসব বিএনপি ক্যাডারের সঙ্গে নিয়ে মালিথা যুবলীগের অফিস ও ৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। হাসপাতালে নিহত শাহিনের বোন নাজমা আক্তার বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, আনোয়ারুল মালিথা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হালিম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুলের সঙ্গে দলের কোনো নেতাকর্মী নেই। তার সঙ্গে সব সন্ত্রাসী থাকে। দলের একজন কর্মী হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা।

No comments

Powered by Blogger.