সীমান্তে চীনের দেড় লাখ সেনা মোতায়েন!

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপের পর উত্তর কোরিয়া সীমান্তে দেড় লাখ সেনা মোতায়েন করেছে চীন। একটি চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। তবে এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আশঙ্কা, উত্তর কোরিয়া চলতি সপ্তাহেই আবার পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে। ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচবার পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকির জবাবে সামরিক পদক্ষেপের হুশিয়ারি দেন ট্রাম্প। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া নিয়ে পরিস্থিতি যে কোনো সময় যুদ্ধাবস্থায় রূপ নিতে পারে। যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
তবে এই যুদ্ধে কেউ জয়ী হবে না। এই যুদ্ধ হলে সবাই ধ্বংসের মুখে পড়বে।’ ইতিমধ্যে কোরীয় উপসাগরে অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস কার্ল ভিনসন’, সাবমেরিন ও গাইডেড মিসাইল ক্রুজার পাঠিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। এর বিরুদ্ধে প্রচণ্ড পাল্টা আক্রমণের হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। হোয়াইট হাউসের এক কূটনীতিক জানান, পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছে ওয়াশিংটন। কিম যদি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেন তবে যে কোনো মুহূর্তে হামলা চালাবে মার্কিন বাহিনী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তর কোরিয়ার একমাত্র বন্ধু চীন। এ কারণে সামরিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, চীন যে কোনো মূল্যে কিমকে পরমাণু পরীক্ষা থেকে বিরত রাখবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে উত্তর কোরিয়া ধ্বংস হোক, তা চায় না বেইজিং। এছাড়া কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন ও ইউরোপীয় প্রভাব রুখতে কিমকে টিকিয়ে রাখাকে জরুরি বলে মনে করে বেইজিং।

No comments

Powered by Blogger.