বিজেপি নির্বাচিত হলে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হবে -অমিত শাহ

আসন্ন বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপি নির্বাচিত হলে আসামে বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হবে। ভারতের বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এ কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, আসামের স্থানীয় লোকজনের কাজ নিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশী অবৈধ অভিবাসীরা। আসামের কোকড়াঝাতে বোড়োল্যান্ড চুক্তির ১৩ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখেন আজ। এতে তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে অবৈধ অভিবাসী চিহ্নিত করন কাজ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবি বাজপেয়ী ওই চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ আরও ঘোষণা দেন যে, এ বছর বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ)। বোড়োল্যান্ডে রয়েছে বিধানসভার ১২টি আসন। উল্লেখ্য, বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য এক হাজার রুপি অনুদান প্যাকেজ দাবি করেছে বিপিএফ। এ বিষয়ে অমিত শাহ বলেন, বোড়োল্যান্ডের উন্নয়নে আমরা মক হাজার কোটি রুপিরও বেশি অর্থ দেব। এই অর্থ কোথায় এবং কিভাবে খরচ হবে সে বিষয়ে এরই মধ্যে আমাকে ধারণা দিয়েছেন বিপিএফের লোকজন। আসামে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি লোকসভার মতো প্রচারণা নেমেছে। অমিত শাহ এ রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে ঘায়েল করতে গিয়ে বলেন, গত তিন বছরে ১০০ গ-ারকে হত্যা করা হয়েছে। যদি এখানে কংগ্রেস আরও দশ বছর ক্ষমতায় থাকে তাহলে আর কোন গ-ার এখানে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আসামের উন্নয়নকে পিছন দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আসামে প্রচুর প্রাকৃতিক ও মানবসম্পদ থাকা সত্ত্বেও এ রাজ্যকে পশ্চাতদিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আসামে কংগ্রেসের শাসন চিহ্নিত হয়েছে দুর্নীতি দিয়ে। এতে লাভবান হয়েছে তাদের নিজস্ব পারিবারিক সদস্যরা। স্বাধীনতা লাভের সময় আসাম ছিল একটি সমৃদ্ধ রাজ্য। কিন্তু এখন এটি দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দরিদ্র রাজ্য। ১৯৬২ সালে চীনের আক্রমণের মতো মুহুর্তে আসামের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী জওয়াহারলাল নেহরু। আমাদের সেনাদের কারণে আসাম এখনও ভারতের অংশ। এ সময় অমিত শাহ বলেন রাজস্থান, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ শাসন করছে বিজেপি। এসব রাজ্যে দিনরাত ২৪ ঘন্টা বিদ্যুত আছে। আছে ভাল সড়ক যোগাযোগ। আছে হাসপাতাল ও পানীয় জল। কিন্তু আসামে রয়েছে সবচেয়ে বেশি মাতৃমৃত্যুর হার। নারীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অপরাধ রয়েছে এ রাজ্যে। রাজ্যের শতকরা ৩৬ ভাগ মানুষের বিদ্যুত নেই। এক কোটির বেশি মানুষ বসবাস করেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। বেকারের সংখ্যা ২৩ লাখ। আসামে প্রমত্তা ব্রহ্মপুত্র থাকা সত্ত্বেও এখানকার শতকরা ৪৬ ভাগ কৃষকের কৃষিকাজের সুবিধা নেই। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেসব স্কিম চালু করেছে তা ব্যবহার করতে হবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈকে।

No comments

Powered by Blogger.