মরিয়া হিলারি, ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ট্রাম্প।

হিলারি ক্লিনটন, ডোনাল্ড ট্রাম্প
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য গতকাল মঙ্গলবার ভোট দিয়েছেন নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা। রিপাবলিকান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এখানে জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা বার্নি স্যান্ডার্সের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনতে মরিয়া ছিলেন হিলারি ক্লিনটন।
১ ফেব্রুয়ারি আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ককাসের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার আসল লড়াই। আইওয়া ককাসের পর অনুষ্ঠিত প্রথম এই ‘প্রাইমারি’ বিশেষ করে রিপাবলিকানদের জন্য নানা নাটকীয়তার আভাস দিচ্ছিল।
মনোনয়ন দৌড়ে এখনো মাঠে রয়েছেন আধা ডজনের বেশি রিপাবলিকান। কট্টর রক্ষণশীল ট্রাম্প, সিনেটর টেড ক্রুজ ও অপেক্ষাকৃত উদারপন্থী সিনেটর মার্কো রুবিও আইওয়াতে ভালো করায় সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। ফ্রন্ট রানার ট্রাম্প জনমত জরিপে এগিয়ে থেকেও আইওয়াতে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় হন।
তবে নিউ হ্যাম্পশায়ার তিন সাবেক ও বর্তমান গভর্নর জেব বুশ, জন কাসিচ ও ক্রিস ক্রিস্টির জন্য অগ্নিপরীক্ষা। তাঁদের মধ্যে কে থাকবেন, আর কে ঝরে পড়বেন, তার আভাস মিলতে পারে এখানেই।
আগাম ভোটে স্যান্ডার্স ও কাসিচের সাফল্য: প্রথা অনুযায়ী, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা পেরোনোর পরপরই নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের প্রত্যন্ত তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এর একটি হলো ডিক্সভাইল নচ। সেখানে হাতে গোনা কয়েকজন ভোটার ভোট দেন। কয়েক মিনিট পরেই ফল বেরোয়। রিপাবলিকানদের মধ্যে কাসিচ তিন ভোট ও ট্রাম্প দুই ভোট পান। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে স্যান্ডার্স চার ভোট পেলেও হিলারি কোনো ভোট পাননি।
তবে সর্বশেষ জনমত আভাস দিচ্ছিল, নিউ হ্যাম্পশায়ারে হিলারি হারলেও হারের ব্যবধান কমিয়ে আনতে পারবেন। রিয়ালক্লিয়ারপলিটিক্সের জরিপের গড়ে দেখা যায়, এখানে স্যান্ডার্স ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও হিলারি ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেতে পারেন। অথচ দিন দু-এক আগেও বলা হচ্ছিল, দুজনের মধ্যে ভোটের ব্যবধানটা ২০ থেকে ২৩ শতাংশ হতে পারে।
এদিকে এএফপি জানায়, মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে তারা হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইলের বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে। এক চিঠিতে সংস্থাটির জেনারেল কাউন্সেল জেমস বেকার বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় সরকারি যোগাযোগের কাজে হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার ব্যবহার করার বিষয়ে তদন্ত ‘এখনো চলছে’। এফবিআইয়ের এ ঘোষণায় হিলারির ই-মেইল বিতর্ক নতুন রসদ পেতে পারে। ব্যাপক চেষ্টা সত্ত্বেও এটি ঝেড়ে ফেলতে পারেননি সাবেক ফার্স্ট লেডি।

No comments

Powered by Blogger.