দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স দিলেন আরফিন রুমি

দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীত তারকা আরফিন রুমি। ৩১শে জানুয়ারি তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন তিনি। এদিকে মঙ্গলবার রুমির আইনজীবি আবদুর রহিম কামরুন্নেসার বাবাকে ফোন করে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর বিষয়টি সরাসরি অবগত করেন। মানসিক নির্যাতন, আগের স্বামীর সঙ্গে মেলামেশা, বেপরোয়া চলাফেরা ও কাউকে তোয়াক্কা না করা সহ বিভিন্ন কারণে কামরুন্নেসাকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে মানবজমিনকে জানান আরফিন রুমি। অন্যদিকে কামরুন্নেসা পুত্র আয়ানসহ গত সাত মাস ধরে অবস্থান করছেন আমেরিকায়। সেখান থেকে মঙ্গলবারই বাংলাদেশে আসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন তিনি। ডিভোর্সের কারণ সম্পর্কে রুমি এ প্রতিবেদককে বলেন, গত তিন বছর ধরে মানসিক নির্যাতন সহ্য করছি। শুধুমাত্র ধৈর্য্য নিয়ে সব সহ্য করেছি সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য। তাছাড়া সে আমার মা ও পরিবারের সবার সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করতো।
রুমি, দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন্নেসা, প্রথম স্ত্রী অনন্যা
প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করেছিলো সে। কিন্তু এবার আমেরিকায় গিয়ে সে আবার তার সঙ্গে মেলামেশা করেছে। এ ঘটনাটি কামরুন্নেসার বাবা পর্যন্ত জানেন। এ বিষয়টি আমি একদমই সহ্য করতে পারিনি। তাই তাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হলাম। এদিকে মঙ্গলবার রাতেই নিরাপত্তা অনুভব না করায় রুমির পক্ষ থেকে মোহাম্মদপুর থানায় একটি জিডিও করেছেন তার মা। আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্সের বিষয়টিও থানায় অবহিত করা হয়। রুমির মা মানবজমিনকে বলেন, কামরুন্নেসা আমার গায়ে পর্যন্ত হাত তুলেছে। তাছাড়া প্রথম থেকেই তার চলাফেরা ছিলো বেপরোয়া। কিন্তু আমি সব সহ্য করেছিলাম রুমির সুখের কথা চিন্তা করে। কারণ রুমির প্রথম স্ত্রীর বেলায়ও একই ঘটনা ঘটেছে। এখন আবার ঘটলে সেটা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হতে পারে। কিন্তু মানসিক নির্যাতন কতদিন পর্যন্ত সহ্য করা যায়? সে কারণেই রুমি ডিভোর্স দিয়েছে। এদিকে ডিভোর্স দিলেও ঘটনাটি নিয়ে আরফিন রুমি বেশ ভেঙ্গে পড়েছেন মানসিকভাবে। তাছাড়া শারিরীকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। এ বিষয়ে রুমি বলেন, কামরুন্নেসাকে বিয়ের পর থেকেই সে আমার কাজেও বাঁধা দেয়া শুরু করে। এমনকি শুটিং পর্যন্ত ঠিকভাবে করতে দেয় না। তাছাড়া আমার পরিবারের সঙ্গেও সে বাজে ব্যবহার করতো সব সময়। আমি ভেবেছিলাম সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। হয়েছে বিপরীত। সে আমাদের ছেলে আয়ানকে নিয়ে আমেরিকা চলে যায়। সেখানে গিয়ে শুরু হয় তার বেপরোয়া চলাফেরা। আগের স্বামীর সঙ্গে আয়ানকে নিয়ে ঘুড়ে বেড়িয়েছে সে। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। একমাত্র সংসার ও ছেলে আয়ানের দিকে তাকিয়ে বিষয়টি নিয়ে আমি খুব দ্বিধা দ্বন্দে ছিলাম। অবশেষে তাকে ডিভোর্স দিতেই হলো। উল্লেখ্য, আমেরিকায় শো করতে গিয়ে ২০১২ সালে কামরুন্নেসার সঙ্গে পরিচয় হয় রুমির। এরপর প্রেম ও চটজলদি বিয়ে। কামরুন্নেসাকে বিয়ে করার কয়েক মাসের মাথায় প্রথম স্ত্রী অনন্যার করা নারী নির্যাতন মামলায় কারাগারেও যেতে হয়েছিলো রুমিকে। এরপর বিভিন্ন শর্ত মেনে বছর দেড়েক আগেই অনন্যার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ডিভোর্স হয়ে যায় রুমির।

No comments

Powered by Blogger.