মার্শের আউটে তুমুল বিতর্ক

বোলার ম্যাট হেনরি সেভাবে আবেদন করেননি, ফিল্ডাররাও খুব একটা উৎসাহ দেখাননি। আম্পায়ারও তাই শুরুতে ব্যাপারটা এড়িয়েই গিয়েছিলেন। কিন্তু বাদ সাধলেন দর্শকেরা। বড় পর্দায় রিপ্লে দেখানোর পর সবাই আবিষ্কার করলেন, মিচেল মার্শের শটটা আসলে মাটিতে পড়ে হেনরির হাতে যায়নি, ক্যাচই হয়েছে। ব্যস, গ্যালারিতে তুমুল হইচই। সেটা শুনেই মাঠের আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা পাঠালেন টেলিভিশন আম্পায়ারের কাছে। তাতে মার্শকে আউট ঘোষণা না করে উপায় ছিল না টেলিভিশন আম্পায়ারের।
ঘটনাটি গত পরশু চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের। যে আউট নিয়ে এখন তুমুল বিতর্ক। ম্যাচ শেষেই ‘জনতার আউটের’ বিপক্ষে স্মিথ নিজের অবস্থানটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘আমার মনে হয় না, সিদ্ধান্তটা এভাবে নেওয়া উচিত ছিল। নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা ওটা আউট ছিল বলে বিশ্বাস করেছে বলেও মনে হয় না। পরের বলটা হওয়ার আগে রিপ্লে দেখানোর দরকার ছিল না। পুরো ব্যাপারটা যেভাবে হয়েছে তাতে আমি হতাশ।’
নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ম্যাককালাম অবশ্য দাবি করেছেন, হেনরি বলটি ধরার সঙ্গে সঙ্গেই আবেদন করেছিলেন। আম্পায়াররাও নাকি ব্যাপারটা নিশ্চিত হয়েই রিভিউ করেছিলেন। কিন্তু ম্যাককালামের কি উচিত ছিল না, আবেদনটা প্রত্যাহার করা? গত বছর ক্রিকেটীয় চেতনার সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রতিনিধি হিসেবে আইসিসি থেকে তো পুরস্কারও পেয়েছিলেন ম্যাককালাম। কিউই অধিনায়কের আত্মপক্ষ সমর্থন, ‘এটা বলা কঠিন, কারণ সিদ্ধান্তটা তো আমার নয়। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা আম্পায়ারদের। তারা স্বাভাবিকভাবেই রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ ম্যাককালামের মতে, আবেদন না করলেই বরং আম্পায়ারদের অবজ্ঞা করা হতো।

No comments

Powered by Blogger.