মুদ্রণে ‘চতুর্থ’ মাত্রা!

পরিবেশের প্রভাবে মুদ্রিত বস্তুর অাকারে পরিবর্তন আসবে l ছবি: হার্ভার্ড গ্যাজেট
সময় ও স্রোত যে কারও জন্য অপেক্ষা করে না, সে তো সবারই জানা। প্রযুক্তিও কিন্তু কারও পথ চেয়ে থাকে না। তাই যদি না হবে তবে বিজ্ঞানীরা কেন চতুর্মাত্রিক (ফোরডি) মুদ্রণপ্রযুক্তি আবিষ্কারে উঠেপড়ে লাগবেন!
ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ বা থ্রিডি প্রিন্ট সবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই মিলবে থ্রিডি প্রিন্ট। অথচ এরই মধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজ ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক ত্রিমাত্রিক মুদ্রণপ্রযুক্তিতে যোগ করেছেন নতুন এক মাত্রা। আর সেটি হচ্ছে ‘সময়’।
নতুন এই মুদ্রণপ্রযুক্তিকে তাঁরা বলছেন ফোরডি প্রিন্ট। এ পদ্ধতিতে থ্রিডি প্রিন্টের মতোই পরতের পর পরত প্রিন্ট করা হয়, তবে কাঁচামাল হিসেবে এতে প্লাস্টিকের বদলে থাকবে জেল-জাতীয় বিশেষ কালি। এ পর্যন্ত ঠিকই আছে। তবে মূল বিশেষত্বটা এর পরের অংশে—মুদ্রণের পর বস্তুটি পানিতে ডোবালে এটির আকারে নাটকীয় পরিবর্তন আসবে।
গবেষক দলের প্রধান জেনিফার লুইস জানান, জেল-জাতীয় কালিতে সেলুলোজের ক্ষুদ্র আঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। এই আঁশের দেখা সাধারণত উদ্ভিদের ত্বকেই মেলে। পরিবেশের প্রভাবে উদ্ভিদের আকার পরিবর্তন করার কৌশলটাই এখানে কাজে লাগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেই সঙ্গে পানিতে ডোবালে কী পরিবর্তন আসবে তাও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
প্রকল্পটির সহকারী গবেষক সিডনি গ্ল্যাডম্যানের ভাষ্য, ‘পদার্থগুলোর মধ্যে পরিবর্তন এনে আমরা এখন থেকে মুদ্রণের পর বস্তুর পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’
চতুর্মাত্রিক মুদ্রণের মাধ্যমে ‘জীবন্ত টিস্যু’ তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে হার্ভার্ডের এই গবেষক দলের। ত্রিমাত্রিক মুদ্রণের মাধ্যমে যেখানে কোনো অঙ্গ তৈরি সম্ভব, সেখানে নতুন এ প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শরীরের ‘জীবন্ত কোষ’ তৈরি সম্ভব হবে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। তাঁরা কতটা সফল হবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ডিজিটাল ট্রেন্ডস অবলম্বনে মুহাম্মাদ আবু বাসেদ

No comments

Powered by Blogger.