গাছ থেকে পড়ছে কাক, তারপর মরছে

গাছ থেকে পড়ে যাচ্ছে কাক, কিছুক্ষণ পরই মারা যাচ্ছে। এক সপ্তাহে রাজশাহী নগরে এভাবে শতাধিক কাকের মৃত্যু হয়েছে। আর অধিক সংখ্যক কাক মারা গেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। বিষয়টিতে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকার একটি বিশেষজ্ঞ দল এসে অসুস্থ ও মরা কাকের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের গাছগুলোতে অনেক কাক থাকে। স্থানীয় লোকজন জানান, গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ এসব গাছ থেকে কাক মাটিতে পড়তে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে বেশকিছু কাক মারাও যায়। এ ছাড়া নগরের শালবাগান, উপশহর ও সাহেববাজার এলাকার রাস্তার ধারে বেশ কিছু কাক মরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টা আমিও শুনেছি। তবে ঠিক কী কারণে কাক মারা যাচ্ছে, আমার জানা নেই।’ মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মানুষের জন্য খারাপ কি না, পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে বলা যাচ্ছে না।’
রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, বিভিন্ন জায়গায় কাক মরে পড়ে থাকতে দেখে ভয় হচ্ছে। হয়তো কোনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কাকের মৃত্যু হচ্ছে। এখন এর থেকে মানুষের কোনো ক্ষতি হয় কি না, তা নিয়ে সতর্ক হওয়া দরকার।
এদিকে কাকের মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গতকাল শুক্রবার ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) একটি বিশেষজ্ঞ দল এসেছিল। দলের সদস্যরা নগরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসুস্থ ও মৃত কাকের লালা, রক্ত ও মল সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। যোগাযোগ করা হলে এই দলের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

No comments

Powered by Blogger.