লতিফ সিদ্দিকীর শাস্তির দাবিতে ইসলামী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ

আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বাতিল ও ফাঁসির দাবিতে
আজ দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম জাতীয়
মসজিদের সামনে তাঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিভিন্ন
ইসলামি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ছবি: হাসান রাজা
মন্ত্রিসভা ও ক্ষমতাসীন দল থেকে অপসারিত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বাতিল ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি উত্তর গেট দিয়ে ঘুরে রাজধানীর পল্টন ও দৈনিক বাংলার মোড় ঘুরে যায়।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ছাড়াও বিক্ষোভ মিছিলে খেলাফত মজলিশ, সম্মিলিত ইসলামী দলগুলো, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দল অংশ নেয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামী নায়েবে আমির নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, লতিফ সিদ্দিকীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানী দৈনিক বাংলা মোড়ে কর্তব্যরত পরিদর্শক এম এ বাশার বলেন, বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী গত ২৯ জুন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি কারাবন্দী থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। মুক্তি পেয়ে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ফরমান আলী বলেন, সব মামলায় লতিফ সিদ্দিকী জামিন পেয়েছেন।
হাইকোর্ট থেকে সাবেক এই মন্ত্রী প্রথমে সাত মামলা ও পরে আরও ১০ মামলায় জামিন পান।
গত বছর সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউইয়র্ক টাঙ্গাইল সমিতির এক অনুষ্ঠানে হজ, তাবলিগ জামাত, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাংবাদিকদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য দল থেকে বহিষ্কৃত হন। একই ঘটনায় অনুভূতিতে আঘাত ও কটূক্তির অভিযোগে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অনেকগুলো মামলা হয়।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকা ও দেশের ১৮টি জেলায় ২২টি মামলা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় প্রতিটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত বছরের ২৫ নভেম্বর তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

No comments

Powered by Blogger.