টেইলার্সের কারিগরদের নির্ঘুম রাত by রাজিউর রহমান রুমী

পাবনায় ঈদের বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। ১০ রোজা অতিক্রম হওয়ার পর পরই মানুষ ঈদের নতুন পোশাক কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছে। শহরের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে কাপড়ের দোকান ও টেইলার্স ও লেডিস কর্নারগুলো বেশি ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। টেইলার্সগুলোতে রোজার শুরু থেকেই কারিগরদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সকাল ৮ থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে বিভিন্ন পোশাক তৈরীর করে যাচ্ছেন তারা ।
পাবনা শহরের নিউ মার্কেট, রবিউল মার্কেট, খান বাহাদুর শপিংমল, স্টার কমপ্লেক্স, হাজী মার্কেট, হুমায়রা মার্কেট, সেভেন স্টার, এআর প্লাজা, এআর কর্নার, নিউ পয়েন্ট, পৌর হকার্স মার্কেট, নিক্সেন মার্কেট, আওরঙ্গজেব সড়ক, মহিলা কলেজ রোডসহ বিভিন্ন অভিজাত মার্কেটের মিনা ফেব্রিক্স, গ্রামীণ চেক, বৃষ্টি ফেব্রিক্স, গাঁওগেরাম আঁচল, শিল্পআঙ্গিনা, ফ্যাশান টাচ্‌, আলাল, অপরূপা, প্রজাপতি, আকাশ, কালেকশনসহ বিভিন্ন দোকানে এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
এ ছাড়া শহরের বাবুল টেইলার্স, মিতালী, প্রিন্স, ওকে, টাচ্‌, অনুপমা, মার্ক টেইলার্স, চলন্তিকা, স্টাইল,লেডিস কর্নার, মেমসাহেব, প্রিয়াংকা লেডিস কর্নার, নিপুর লেডিস কর্নারসহ বিভিন্ন টেইলার্সে পোশাক তৈরীর জন্য ভিড় করছে ক্রেতারা। এসব টেইলার্সের কারিগর ও মালিকদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তারা জানান সকাল ৮টা থেকে শুরু করে রাত ১টা পর্যন্ত বিরতিহীন পোশাক তৈরি করছেন।
শহরের বৃহৎ টেইলার্স বাবুল টেইলার্সের পরিচালক শাহজাহান আলী বাবুল জানান, এ বছর রমজানের শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই পোশাক তৈরী অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। তিনি জানান, গত বছর তার টেইলার্সে ২ হাজার ৫শ’ প্যান্ট এবং ২ হাজার ৭শ’ শার্ট তৈরীর অর্ডার নিয়েছিলেন। এবার আরও বেশি অর্ডার হবে বলে তিনি আশা করেন। বর্তমানে ৩৫ জন কারিগর দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন তার টেইলার্সে।
মার্কেটে পোশাকের দোকানগুলোতে এখন রং-বেরঙের বাহারি ডিজাইনের পোশাক এখন শোভা পাচ্ছে। এবছর মেয়েদের পোশাকে স্থান পেয়েছে ‘কিরণমালা’ এবং ‘ফ্লোরটাচ্‌’ নামের পোশাক। এদিকে বিভিন্ন পোশাকের আকাশ ছোঁয়া দাম শুনে ঘুরপাক খাচ্ছেন ক্রেতারা। অল্প আয়ের মানুষ মার্কেটে এসে পোশাক কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। চড়া দাম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক ক্রেতা। তবে দোকানিরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, এবারে পোশাকের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। বিভিন্ন দোকানে দেখা গেছে, এক একটি থ্রি-পিসের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫’শ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া তৈরী পোশাক ৮’শ, ১ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কোন কোন দোকানে আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ‘কিরণমালা’ এবং ‘ফ্লোরটাচ্‌’ এর দাম ৩ হাজার টাকা থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত হাঁকা হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.