চট্টগ্রামে আবারও গ্যাস সংকট ভোগান্তিতে নগরবাসী

আবারও গ্যাস সংকটে পড়েছে চট্টগ্রামবাসী। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও গ্যাস সংকটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বন্দর নগরীর অধিকাংশ এলাকার মানুষ। সূত্র জানায়, গ্যাসের অভাবে গতকাল সকাল থেকে নগরীর বহু এলাকায় রান্নাঘরের চুলা জ্বলেনি। নগরীর বাকলিয়া, চকবাজার, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, চট্টেশ্বরী রোড, কাজীর দেউড়ি, লাভলেইন, জামাল খান ইত্যাদি এলাকায় গতকাল গ্যাসের চাপ ছিল অত্যন্ত কম। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দারা পড়েছেন বেকায়দায়। রমজান মাস হওয়াতে ভোগান্তি ছিল চরমে। কাজীর দেউড়ি এলাকার বাসিন্দা রোখসানা বেগম বলেন, গ্যাস না থাকাতে দুইদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। দুপুরে ইফতার তৈরি করতে গিয়ে গলদঘর্ম অবস্থা হয়েছে। এছাড়া সেহ্‌রির সময়ও গ্যাসের চাপ ছিল কম। তাই খাবার গরম না করেই খেতে হয়েছে।  এদিকে, সিএনজি স্টেশনগুলোতেও গ্যাসের চাপ ছিল অত্যন্ত কম। ফলে ফিলিং স্টেশন থেকে অনেক গাড়িকে গ্যাস না নিয়ে ফেরত আসতে হয়।  সিএনজি চালক মো. গিয়াসউদ্দিন বলেন, সিএনজি স্টেশনে গ্যাস নিতে গিয়ে দেখি গ্যাস নেই। তাই গ্যাস না নিয়েই ফিরে এসেছি। এখন গ্যাসের অভাবে গাড়ি চালাতে পারছি না। সূত্র জানায় চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে ২৩০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো সরবরাহ দেয়া হয়।
কিন্তু সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলের গ্যাস ফিল্ডে উৎপাদন কমে যাওয়ায় চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ ২০০ মিলিয়ন ঘনফুটের নিচে নেমে আসে। গতকাল সকালে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেলে মাত্র সপ্তাহ দু’একের ব্যবধানে আবারও গ্যাসের জন্য হাহাকার শুরু হয়।  েরোজার দিনে ঘরে এবং স্টেুরেন্টগুলোতে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় ইফতারি তৈরিসহ প্রাত্যহিক কাজকর্ম চরমভাবে ব্যাহত হয়। জানতে চাইলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আইয়ুব খান বলেন, সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলের গ্যাস ফিল্ডে গ্যাস উত্তোলন কমে যাওয়ায় চট্টগ্রামে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। বর্তমানে চট্টগ্রামে গ্যাসের সরবরাহ ২০০ মিলিয়ন ঘনফুটের নিচে নেমে এসেছে। তবে শিগগিরই গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.