গ্রহের মর্যাদা ফিরে পাবে প্লুটো?

২০০৫ সালে বিজ্ঞানীরা প্লুটোর গ্রহের মর্যাদা কেড়ে নেন।
গ্রহ হিসেবে মর্যাদা হারানো প্লুটোর ভাগ্য খুলতে পারে। গ্রহের ‘সম্মান’ ফিরতে পারে প্লুটোর। দুই দশক পরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার পাঠানো নিউ হরাইজন্স ১৪ জুলাই প্লুটোর কাছে পৌঁছাচ্ছে। গবেষকেরা আশা করছেন, শিগগিরই প্লুটো গ্রহের মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য কিনা— এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা এ বিতর্কের অবসান হবে।
২০০৫ সালে বিজ্ঞানী মাইক ব্রাউনের নেতৃত্বে একদল গবেষক গ্রহ হিসেবে প্লুটোর মর্যাদা কেড়ে নেন। কারণ ওই সময় একদল গবেষক প্লুটোর চেয়ে বড় একটি বরফাবৃত বস্তুর সন্ধান পান। তাঁরা এর নাম দেন এরিস। এরিসও সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরছে।
গবেষকেরা দাবি করেন, প্লুটোকে যদি গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হয় তবে এরিসকেও দিতে হবে। তা না হলে প্লুটোর গ্রহের মর্যাদা কেড়ে নিতে হবে। গবেষকেরা এরিসকে বামন গ্রহ হিসেবে মর্যাদা দিলে প্লুটোও তার মর্যাদা হারায়। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের (আইএইউ) গবেষকেদের ঘোষণা করা গ্রহের অফিশিয়াল সংজ্ঞার শর্ত পূরণ হয়নি প্লুটোর।
এআইইউয়ের গ্রহের সংজ্ঞার পার্ট সিতে বলা হয়েছে, গ্রহ হবে মহাকাশীয় বস্তু যা এর চারপাশের কক্ষপথের প্রতিবেশীদের দূর করতে পেরেছে।
জ্যোতির্বিদেরা বলেন, এই শর্ত অনুযায়ী এরিস প্লুটোর কক্ষপথে প্রতিবেশী হিসেবে আছে। আবার এরিসের দিক থেকে প্লুটোও তাই।
প্লুটোকে কী আবার গ্রহ বলা যাবে? এ প্রসঙ্গে নাসার সাবেক বিজ্ঞানী ফিল মেটগার বলেন, ‘প্লুটোকে গ্রহ বলতে এখনো কোনো বাধা নেই। প্লানেটারি সায়েন্স কমিউনিটি প্লুটোকে কখনো গ্রহের বাইরে কিছু বলেনি। প্লুটোর যা বৈশিষ্ট্য তাকে গ্রহ বলে মর্যাদা দেওয়াই যায়।
বিজ্ঞানী ফিল আরও বলেন, এভাবেই বিজ্ঞানের অগ্রগতি হতে থাকে। এক সময় মানুষ একটি সত্য জানে এবং তা মেনে নিতে বাধ্য হয়।
প্লুটোর নতুন আবিষ্কার নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা করছেন বিজ্ঞানীরা। নিউ হরাইজন্স তাঁদের সামনে প্লুটো রহস্যের বা আমাদের সৌরজগতের মধ্যে এলিয়েন রহস্যের সমাধান আনবে বলেই আশা করছেন তাঁরা। (ফিউশন, ওয়াশিংটন পোস্ট, স্পেস ডটকম)

No comments

Powered by Blogger.