লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী দলগুলো। গতকাল বেলা ২টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামা ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনসহ ইসলামী দলগুলো অংশ নেয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসেন কাসেমী, সদস্য সচিব জুনায়েদ আল হাবিব, নায়েবে আমির ওবায়দুল্লাহ ফারুক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুুল কাইয়ুম, ঢাকা মহানগরের সভাপতি শেখ গোলাম আসগর, বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি নুরুল ইসলাম আল আমিন, নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুর রউফ প্রমুখ।
মিছিল শেষে লতিফ সিদ্দিকীর কুশপুত্তলিকা দাহ ও জুতা প্রদর্শন করা হয়। জুম্মার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের সামনে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সংগঠনটির ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসেন কাসেমী বলেন, লতিফ সিদ্দিকী মুরতাদ। সে ইসলামকে অবমাননা করে যে বক্তব্য দিয়েছে, তাতে অবশ্যই তাকে আবার গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দিতে হবে।
মাওলানা কাসেমী বলেন, মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীকে জামিনে মুক্তি দিয়ে সরকার মুসলমানদের অন্তরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এ আগুন নেভাতে অবিলম্বে পুনরায় তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ধর্ম অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন পাসের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এ আইন পাসের মাধ্যমে লতিফ সিদ্দিকীসহ সকল নাস্তিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসি না দেয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। হেফাজতে ইসলাম এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না। হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী সবার সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই এ ইস্যুতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও জানান নূর হোসাইন কাসেমী। সমাবেশ শেষে হেফাজতে ইসলাম পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এদিকে একই দাবিতে রাজধানীর লালবাগ শাহী জামে মসজিদ থেকে বাদ জুমা মিছিল বের করে ইসলামী ঐক্যজোট। দলটির চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ এতে নেতৃত্ব দেন। এদিকে, বায়তুল মোকাররমে ইসলামী দলগুলোর কর্মসূচিকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররম ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.