ওসমানীতে পরের রাতেও অঘটন by ওয়েছ খছরু

রাত সাড়ে ১২ টায় প্রসব বেদনায় ছটফট করা আকলিমা বেগমকে (১৯) ভর্তি করা হয় গাইনি ওয়ার্ডে। সঙ্গে ছিলেন আকলিমার শাশুড়ি রাবেয়া বেগম। কিন্তু ভর্তি হলেও রাত সোয়া একটা পর্যন্ত কোন ডাক্তার দেখতে আসেননি তাকে। এ অবস্থায় প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন আকলিমা। জোরে-জোরে চিৎকার করছিলেন তিনি। তার চিৎকারের সুর ভেসে আসছিল গাইনি ওয়ার্ডের বাইরেও। এমন সময় কর্তব্যরত ডাক্তার তার কাছে আসেন। তিনি উত্তেজিত হয়ে আকলিমাকে মারধর করেন। নাকে-মুখে টিপ্পনি দিয়ে ধরেন। এমন দৃশ্য দেখে শাশুড়ি রাবেয়া বেগম দৌড়ে যান। তিনি গিয়ে বাধা দিলে নার্সরা তাকে ধরে টানা-হ্যাঁচড়া করেন। এ সময় রাবেয়া চিৎকার শুরু করলে ক্ষেপে যান কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি হাতে থাকা স্টেটোসকোপ দিয়ে আঘাত করতে থাকেন রাবেয়ার মাথায়। এতে রাবেয়ার মাথা ফেটে যায়। অজ্ঞান হয়ে পড়েন মেঝেতে। হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়রা তাকে নিয়ে যান জরুরি বিভাগে। সেখানে রাবেয়ার মাথায় তিনটি সেলাই দেয়া হয়। রাতে রাবেয়াকে জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ওদিকে, লেবার ওয়ার্ডের বেডে যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন আকলিমা। এভাবে রাত কাটানোর পর ভোরে হাসপাতালে এসে পৌঁছেন আকলিমার স্বামী মোহাম্মদ আলী। তার আগেই রাবেয়ার উপর অত্যাচারের ব্যাপারে টনক নড়ে প্রশাসনের। ডিউটি ডাক্তার বিথীর উপর চাপ প্রয়োগ করা হলে তিনি সকালে এসে রাবেয়া ও তার ছেলে মোহাম্মদ আলীর কাছে ক্ষমা চান। এ রকম ঘটনা আর ঘটবে না বলে জানান। ওদিকে, মাথায় ব্যান্ডেজ দেওয়া রাবেয়াকে সকালের দিকে গ্রামের বাড়ি ছাতকের ভৌলা গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সকালে এ নিয়ে কথা হয় মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে। তিনি মানবজমিনকে জানান, স্ত্রী আকলিমাকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন। আর বেলা সোয়া একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ডাক্তার তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তারা আর এ রকম ঘটনা ঘটবে না বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভাই আমার রোগী এখনও হাসপাতালে ভর্তি। যদি আপনাদের সঙ্গে কথা বলি তাহলে ডাক্তাররা আমার রোগীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে। চিকিৎসায় অবহেলার কারণে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। বর্তমানে আমি রাতের ঘটনাটি ভুলতে চাই।’- এ ঘটনা সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। অথচ ১০ শিশুসহ ৩২ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ওইদিন সকাল থেকে হাসপাতাল এবং সিলেটে তোলপাড় চলছে। ডাক্তাররা সতর্ক হয়ে যখন চিকিৎসা দিচ্ছেন, এরই মধ্যে আরও একটি কা- ঘটিয়েছেন ইন্টার্নি চিকিৎসক বিথী। সকালের দিকে গাইনি ওয়ার্ডে গেলে ভর্তি থাকা রোগীদের স্বজনও এমনটি জানিয়েছেন। এমনকি পুলিশের কাছে চলে এসেছে এ খবরও। গতকাল দিনভর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালান। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবদুস সালাম বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন অন্যায়কেই প্রশ্রয় দিতে রাজি নয়। ওদিকে, সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত একদিনে হাসপাতালে ১০ শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল অনেককেই হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে। যে শিশু ওয়ার্ডে কখনও বেডশূন্য থাকে না সে ওয়ার্ডে শূন্য ছিল কয়েকটি বেড। রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর চিকিৎসা সেবা ভাল হলেও আতঙ্ক কমছে না। এ কারণে অনেকেই হাসপাতাল ছেড়ে বেসরকারি ক্লিনিকে চলে গেছেন। এদিকে, হাসপাতালে এক দিনে ৩২ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা গতকাল সকালে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। তদন্ত কমিটির প্রধান হচ্ছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোশাররফ হোসেন। তদন্ত দলে রয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ আবিদ হোসেন বাকী, স্বাস্থ্য বিভাগের হাসপাতাল ও নার্সিং বিভাগের পরিচালক ডা. সামিউল ইসলাম সাদী। সকাল ১১টার দিকে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি আসেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তারা সেখানে প্রথমে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে বসে বৈঠক করেন। এরপর তারা চলে যান ২২ নং ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডে একদিনে ৭ শিশু মারা গিয়েছিল। যাদের অধিকাংশই ছিলো নবজাতক। ওই ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। একই সঙ্গে তারা কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গেও কথা বলেন। শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য জরুরি সব কিছু রয়েছে কী না তাও পরিদর্শন করেন। এরপর তারা চলে যান দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত করোনারি বিভাগে। সোমবার রাতে ওই বিভাগে ৫ জন রোগী মারা গিয়েছিলেন। সেখানে তারা রোগী এবং স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। একই সঙ্গে তারা মারা যাওয়া রোগীদের চিকিৎসাপত্র সংগ্রহ করেছেন। এরপর আরও কয়েকটি ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে বেলা সোয়া ২টায় তদন্ত কর্মকর্তারা হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে ফিরে আসেন। পরে বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত দলের সদস্য ডা. আবিদ হোসেন বাকী। তিনি বলেন, ওসমানী হাসপাতালে একদিনে ৩২ জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা অস্বাভাবিক বলে মনে করা হচ্ছে। এ কারণে মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। তদন্ত দল সকাল থেকে হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। একই সঙ্গে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে ঘুরে দেখেছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সব উপাদানের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন সংগ্রহ করা হবে, যে ৩২ জন রোগী মারা গেছেন তাদের চিকিৎসাপত্র। এই চিকিৎসাপত্র নিয়ে যাচাই করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের তদন্তে কেউ অস্বাভাবিকভাবে মারা গেলে অবশ্যই তা বেরিয়ে আসবে। একই সঙ্গে যদি কেউ দায়ী হয় তাহলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে। দোষীদের কী শাস্তি হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে আবিদ হোসেন জানান, তদন্ত রিপোর্ট সে ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা দেবে। এ সময় তিনি বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এ অঞ্চলের চিকিৎসা ব্যবস্থার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। সুতরাং এ প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করে নয়, বরং ত্রুটি শুধরে দিয়েই উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এ দায়িত্ব সবার। এজন্য এখন সকলকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে চলতে হবে। গঠিত তদন্ত কমিটি আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে অনেক কাজ করতে হবে। বলেন, ওসমানী হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে চারগুণ রোগী রয়েছেন। সুতরাং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করলে হাসপাতালকে আরও প্রসারিত করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এদিকে, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গতকালও ১৭ জন রোগী মারা গেছে। এর মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গতকাল অনেক রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেলেও ভর্তি হয়েছেন অনেকেই। এ কারণে গতকাল বুধবার রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২ হাজার। তিনটি শিশু ওয়ার্ডে রোগী ধারণ ক্ষমতা হচ্ছে ৭৭ জন। কিন্তু গতকাল ওই তিনটি ওয়ার্ডে ২৬০ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে, ৩২ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছেন। বাড়ানো হয়েছে হাসপাতাল গঠিত তদন্ত কমিটির পরিধি। মঙ্গলবার প্রথমে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। রাতে এই কমিটিতে আরও তিন সদস্য সংযোজন করা হয়েছে। মোট ৬ জন তদন্ত কর্মকর্তার মধ্যে আরও রয়েছেন, হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. মনজ্জির আলী, আবাসিক চিকিৎসক ডা. রঞ্জন কুমার রায়, সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. দেওয়ান আলী আহমদ চৌধুরী, গাইনির সহযোগী অধ্যাপক দিলীপ কুমার ভৌমিক ও শিশুবিশেষ্ণ মসিহ উদ্দিন চৌধুরী। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুস সবুর গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মাত্র তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তদন্তের স্বচ্ছতা ও দ্রুততার জন্য রাতে আরও তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে ৩২ জন রোগী মারা গেছেন তাদের স্বজনদের কাছ থেকে কর্তব্যে অবহেলার কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা মারা যাওয়া ৩২ জন রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের ভাষ্য নেয়া হবে। তারা কোন অভিযোগ করলে সেটিও আমলে নেয়া হবে। তিনি বলেন, তিন কার্য দিবসের মধ্যে হাসপাতাল গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। ওদিকে, মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির কোন সম্পৃক্ততা নেই। হাসপাতাল গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের মতো তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।
রাতে থাকেন না ডাক্তার, চলছে ব্যবসা: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাতে থাকেন না কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। কেবল ইন্টার্নি দিয়ে চলে সেবা। এমনিতেই রোগীর চাপ বেশি। তার উপর জটিল কোন রোগী এলে কর্তব্যরত ইন্টার্নিদের চাপ সামাল দেয়া কষ্টকর বলে জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। তারা জানান, কোন কোন দিন ধারণ ক্ষমতার তিন থেকে চারগুণ রোগী চলে আসে। এ কারণে তাদের সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হয় না। আর রোগীর স্বজনরা অযথা ঝামেলা করে থাকেন। তবে, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের কর্তব্যের অবহেলা বিষয়টি নিত্যদিনের ঘটনা। এজন্য প্রতিদিন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে হয় ঝগড়া। গত মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে ইউনিট ফোর এর ডাক্তাররা হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছেন। বেশির ভাগ ওয়ার্ডে দেখা গেল এক কিংবা দুইজন ইন্টার্নি চিকিৎসক। ওয়ার্ডেও সিওরা নামমাত্র রাতের বেলা একবার পরিদর্শন করে যান। তবে, ওই পরিদর্শন কেবল কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। ওয়ার্ডে যান কম। হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে ডাক্তার থেকে শুরু করে ওয়ার্ড বয়রা চিকিৎসার নামে ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের জন্য ডিজিটাল চিকিৎসা পদ্ধতির সকল সরঞ্জাম থাকলেও বাইরের কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানো হয় রোগী। হাসপাতালে লেবার ওয়ার্ডে রাতে বেলা কোন রোগীকেই আলট্রাসনোগ্রাম ছাড়া ভর্তি করা হয় না। আর দিনে যাদের ভর্তি করা হয় তাদের অনেককেই পাঠিয়ে দেয়া হয় বাইরের প্যাথলজিগুলোতে। বাইরে প্যাথলজিতে রোগী পাঠানো এখন হাসপাতালে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুস সবুর যোগদানের পর হাসপাতালের অনেক অনিয়ম খুঁজে বের করেন এবং হাসপাতালকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তিনি এক এক করে কাজে হাত দেন। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগপন্থি একাংশের কাছে পরিচালকের কাজ মনোপুত হয় না। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পরিচালক সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য নিয়ম চালু করতে পারেননি। এ কারণেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠা অনিয়ম একদিনেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্মকর্তারা। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুস সবুর জানিয়েছেন, যখনই তার কাছে কোন অভিযোগ এসেছে তিনি সেটির ব্যবস্থা নিয়েছেন। কোন অনিয়মকেই তিনি বরদাশ্‌ত করেন না বলে জানান।

No comments

Powered by Blogger.