মাঠ দখলে মরিয়া দু’পক্ষ, মাঠে নামার চেষ্টা করবেন না: ১৪ দল, ডিএমপি কমিশনারের দেখা পায়নি বিএনপি

৫ই জানুয়ারি। কেউ বলেন গণতন্ত্রের কালো দিবস। কেউ বলেন গণতন্ত্র রক্ষা দিবস। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে দিনটি নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। আলোচনা আছে সারা দুনিয়ায়। নয়া এক মডেলের গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল এ নির্বাচনের মাধ্যমে। দেশে-বিদেশে বিতর্কিত এই নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল দেশজুড়ে। এই নির্বাচনের এক বছরপূর্তির দিনে ফের মুখোমুখি দুই রাজনৈতিক শিবির। এদিন মাঠ দখলে রাখতে মরিয়া দুই পক্ষই। তাদের পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি ও বক্তব্যে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। এদিন ঢাকার রাজপথে বিরোধী জোটকে নামতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ঘোষণা দিয়েছে যে কোন মূল্যে ঢাকায় সমাবেশ করার। এদিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, নয়াপল্টন অথবা শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে বিএনপি আবেদন করলেও গতকাল পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি মিলেনি। বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল গত দুদিন ডিএমপি কার্যালয়ে গেলেও তারা পুলিশ কমিশনারের সাক্ষাৎ পাননি। গতকাল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি’র সমাবেশ অনুমতির বিষয়ে জানিয়েছেন, বিষয়টি পুলিশের ওপর নির্ভর করছে। এদিকে পাঁচই জানুয়ারি ঘিরে সারা দেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরপাকড় শুরু করেছে। বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে গতকাল অভিযোগ করা হয়েছে সারা দেশ থেকে ঢাকায় নেতাকর্মীদের আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় ও বাসা ঘিরে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এদিন বিরোধী জোটের কর্মসূচি ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন জোট। গতকাল ঢাকা মহানগর ১৪ দলের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর ১৬টি স্পটে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও আলাদা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
অটল ২০ দল: ৫ই জানুয়ারি রাজধানীতে যে কোন মূল্যে সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অটল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দল। বিপুল মানুষের অংশগ্রহণে সমাবেশ সফল করতে চলছে সর্বাত্মক প্রস্তুতি। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলে প্রশাসনের কাছে অনুমতির জন্য বারবার যোগাযোগ করা হয়েছে বিএনপির তরফে। এমন কি অনুমতি সাপেক্ষে ভেন্যু নির্ধারণের কথাও বলেছে দলটি। কিন্তু গতরাত পর্যন্ত সমাবেশের অনুমতি পায়নি ২০দল। ওদিকে ৫ই জানুয়ারি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক ধরপাকড়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী রীতিমতো অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনেও বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা তৎপরতা। গ্রেপ্তার এড়াতে নয়াপল্টন ও গুলশান কার্যালয়মুখী হতে পারেনি বিএনপির নেতাকর্মীরা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতারা। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ, প্রেসিডেন্ট, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠনের কাছে নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে দলটির তরফে। তবে ৫ই জানুয়ারি সরকার অনুমতি না দিলেও রাজপথে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। এ জন্য নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তার কামরাটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে ৫ই জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে ব্যাপক ধরপাকড়। গতকাল বগুড়ায় বিএনপি-জামায়াতকর্মীসহ ৭৯ জন, ফেনীতে ৫৫ জন, যশোরে ৫১ জন, রংপুরে ৪৫ জন, মানিকগঞ্জে ১২ জন, গাজীপুরে ৬ জন, সিলেটে ৫ জনসহ সারা দেশে ২০দলীয় জোটের কয়েকশ’ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া প্রশাসন ও সরকারি দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানী ঢাকা অভিমুখী বিভিন্ন যাত্রীবাহী যানচলাচলে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ করেছে বিএনপি। উল্লেখ্য, ৫ই জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে যে কোন মূল্যে রাজধানীতে জনসভা করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। গত বুধবার নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এদিকে শুক্রবারের পর গতকালও ৫ই জানুয়ারির সমাবেশের অনুমতির ব্যাপারে ডিএমপি কার্যালয়ে যান বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক ও সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ডিএমপি কার্যালয়ে যান। সেখানে তারা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। এ সময় সেখানে তাদের চা-নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। তবে ইজতেমা নিয়ে ব্যস্ততা দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তাই তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। ডিএমপি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ৫ তারিখের সমাবেশের অনুমতির জন্য আমরা ডিএমপি কার্যালয়ে এসেছিলাম। আমাদের জানানো হয়েছে, ইজতেমার কারণে কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা উপস্থিত নেই। আমরা জানিয়েছি, ইজতেমা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের সমাবেশও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। ফারুক বলেন, ৫ই জানুয়ারি নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করবো। কোথায় এই সমাবেশ হবে, তা দলের নীতিনির্ধারকেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবেন। এদিকে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, ৫ই জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসে কালোপতাকা মিছিল ও সমাবেশ করার জন্য ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছেন। ওইদিন সমাবেশের জন্য ঢাকার তিনটি স্থানের উল্লেখ করে ডিএমপির কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তারা যেখানে অনুমতি দেবে সেখানেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা হবে। তিনি বলেন, আমরা যথেষ্ট উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। পুলিশ নেতাকর্মীদের বিএনপি অফিসে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। কয়েক দিন ধরে কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে। পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ফটকে দফায় দফায় হানা দিয়ে তালা ভাঙার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তিনি দাবি করেন, কয়েকদিন ধরেই পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থা এ ধরনের আচরণ করছে। শনিবার ভোর ও সকালেও এ ঘটনা ঘটেছে। এতে অফিসের কর্মরত সবাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। নয়াপল্টনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শুধু বিএনপি অফিস নয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। এ জন্য জাতিসংঘ, প্রেসিডেন্ট, আইনজীবী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন। রিজভী আহমেদ বলেন, পুলিশ প্রশাসন এখন পর্যন্ত অনুমতি দেয়নি। তারা বলেছে পরে জানাবে। আমাদের একটা কিছু করতে হবে। সে অর্থে বিএনপির পূবনির্ধারিত সমাবেশ হবেই। আওয়ামী লীগ ১৬টি জায়গায় সমাবেশ করবে। আর আমাদের একটি জায়গায়ও করতে দেবে না- এটাই তাদের গণতন্ত্রের পার্থক্য। সরকার আমাদের পূর্বঘোষিত সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। রাষ্ট্রক্ষমতার জোরে সরকার বলছে সমাবেশ করতে দেবে না। আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যে সন্ত্রাসের চিত্র ফুটে উঠেছে। এর আগে আওয়ামী লীগ প্রথমে একটি জায়গায় সমাবেশের কথা বললেও এখন তারা বলছে ১৬টি জায়গায় সমাবেশ করবে- এটা রহস্যজনক। এটি সরকারের একটি চক্রান্ত। র‌্যাব, পুলিশ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগকে রাজপথে আসার আহ্বান জানিয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, র‌্যাব-পুলিশ বাদ দিয়ে এলে দেখা যাবে জনগণ কাদের সঙ্গে আছে। সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে দমন-পীড়ন-নীতি প্রয়োগ করছে। জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে ক্ষতবিক্ষত করে পতন ঘটাবে এবং সরকার তখন নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। এদিকে ২০দলের আসন্ন আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের কামরাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত করা হয়েছে। নেতারা জানান, চলমান আন্দোলনে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়া। তিনি যে কোন সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসা-যাওয়া শুরু করতে পারেন। এছাড়া ৫ই জানুয়ারি সমাবেশের দিনও তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে পারেন। দলীয় সূত্র জানায়, ৫ই জানুয়ারি সমাবেশের অনুমতি না দিলেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসা থেকে এবার বের হবেন। নেতা-কর্মীদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন তিনি। প্রয়োজনে পথসভার আদলে তাৎক্ষণিক সমাবেশে অংশ নেবেন তিনি। ২০১৩ সালের ২৯শে ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি, ২৭শে ডিসেম্বর গাজীপুর সমাবেশে তিনি রাস্তায় নামতে না পায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হওয়ায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকার হার্ডলাইনে গেলে নিজের করণীয় সম্পর্কেও ভেবে রেখেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ওদিকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মতো রাজধানীর পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয়েও নেতাকর্মীদের যাতায়াতে বাধা দেয় পুলিশ। গতকাল বিকেলে কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা করতে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢুকতে চাইলেও পুলিশের বাধার কারণে পারেননি। যদিও পুলিশ বলছে, বিএনপি অহেতুক ইস্যু সৃষ্টি করছে। নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, দুপুর থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আর্মড পুলিশ পার্টি অফিস ঘেরাও করে রাখে। মাইক লাগানো হলেও সেটা খুলে আনতে বাধ্য করা হয়। পার্টি অফিস থেকে চেয়ার নামিয়ে দেয়া হয়েছে।
মাঠে নামার চেষ্টা করবেন না, বিএনপিকে ১৪ দল
বিএনপিসহ বিরোধী জোটকে ৫ই জানুয়ারি মাঠে না নামতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ১৪ দল। নেতারা বলেছেন, এদিন ঢাকার ১৬ পয়েন্টে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল। এদিন বিএনপিকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না। গতকাল ঢাকা মহানগর ১৪ দল আয়োজিত সভায় নেতারা এসব কথা বলেন। সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান অনেক অন্যায় করেছেন। ছেলের পক্ষ থেকে মা ক্ষমা চাইলে বাংলার জনগণ ক্ষমা করে দিতে পারে। তাহলে তাদের সভা, সমাবেশও করতে দেয়া হতে পারে। অন্যথায় জনগণ তাদের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। খালেদা জিয়াকে জামায়াতের ‘আমীর’ আখ্যা দিয়ে মায়া বলেন, ৫ই জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকাবাসী রাজধানীর ১৬টি পয়েন্টে অবস্থান নেবে। বিএনপিকে রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না। কোন দফায় কাজ হবে না। দফা একটাই, সেটা আপনি (খালেদা) ভাল হয়ে যান। এ ছাড়া আপনার কোন অস্তিত্ব থাকবে না। সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ১৪ দলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আগামী ৫ই জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করবো। এদিন কাউকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না। মাঠ থাকবে আমাদের দখলে। বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দয়া করে ৫ই জানুয়ারি মাঠে নামার চেষ্টা করবেন না। সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করবেন না। কোন ধরনের সংঘাত সৃষ্টি হলে এর দায় আপনাদেরই নিতে হবে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন। কোন নাশকতা করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে। সভায় ঢাকা মহানগর ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপিকে প্রতিহত করা হবে: হাছান মাহমুদ
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৫ই জানুয়ারি বিএনপি কোন বিশৃঙ্খলা করলে তাদের প্রতিহত করা হবে। রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বীর-উত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে গতকাল দুপুরে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। হাছান মাহমুদ বলেন, এদের (বিএনপি) শক্তি শেষ হলেও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, ৫ই জানুয়ারি আমরা গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করবো। আর বিএনপি ওই দিন কালো দিবসের কর্মসূচি দিয়েছে। আসলে তারা একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের সেই সুযোগ দেবে না। আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন, আমাকে একটি গোষ্ঠী মাইনাস করতে চায়। কিন্তু আমরা তাকে মাইনাস করতে চাই না। বরং ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তিনি নিজেই মাইনাস হয়ে গেছেন। এখন আন্দোলনের মাঠে অবস্থান করতে না পেরে দেশবাসীর কাছ থেকেও মাইনাস হচ্ছেন। খালেদা জিয়ার ভুল নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা তার প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.