‘নাশকতা হলে কঠিন জবাব’ -ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আন্দোলনের নামে সহিংসতা, বোমা মেরে মানুষ হত্যাকারীদের সঙ্গে কোন আপস নেই। তাদের এখনই রুখতে হবে। আন্দোলনের নামে আবার কোন নাশকতা হলে জনগণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে  সরকার এর কঠিন জবাব দেবে। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৫ সালে ছাত্রলীগের মূল লক্ষ্য হবে মানুষের মন জয় করে সুনামের ধারায় ফিরে আসা। ছাত্রলীগকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে সমাবেশ ও র‌্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ, বিএমএ-র মহাসচিব ডা. এম ইকবাল আর্সলান, এস এম বাহালুল মজনুন চুন্নু, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখসহ ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান নেতৃবৃন্দ। এর আগে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ওড়ানোর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়। সমাবেশ শেষে ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এদিকে ছাত্রলীগের র‌্যালিকে কেন্দ্র করে ছুটির দিনেও রাজধানীর একাংশে চলাচলে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে রাজধানীবাসীকে। শনিবার দুপুর থেকে শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, এলিফ্যান্ট রোডে এই যানজট দেখা যায়, যা কয়েকটি স্থানে বিকাল পর্যন্ত ছিল। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রাটি শাহবাগ-কাকরাইল হয়ে বিজয় নগর দিয়ে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। সড়ক আটকে সরকার সমর্থক সংগঠনটির এই শোভযাত্রা চলার সময় যান চলাচলের  কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি পুলিশকে। সড়কে দায়িত্বপালনরত ট্রাফিক পুলিশের রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার হাফিজ আল ফারুক বলেন, আমরা এ র‌্যালি উপলক্ষে কোন ডাইভারশনের ব্যবস্থা করিনি। তবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার শোভাযাত্রা শুরু হলেও তার আগে থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আসতে থাকায় সড়ক যানজট সৃষ্টি হতে থাকে।  বেলা দেড়টায় কাকরাইল মোড়ে রাজমণি ঈশা খাঁ হোটেলের সামনে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা যাওয়ার সময় বিকট শব্দে বাজতে থাকা হিন্দি গানের সঙ্গে কর্মীদের নাচতেও দেখা যায়। এতে পথচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়।

No comments

Powered by Blogger.