বহির্বিশ্বে বছরের আলোচিত ৭ by নাজমুল আহসান

কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার পথে আরেকটি বছর। নানা কারণে এ বছরটি বিশ্ববাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ বছরে যেমন মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান অদৃশ্য হয়েছে, তেমনি তালেবানদের বিরুদ্ধে মেয়েশিশু শিক্ষা নিয়ে কাজের অবদান স্বরূপ পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই ও ভারতের কৈলাস সত্যার্থী যৌথভাবে জিতেছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। এ বছরেই ফিলিস্তিনে নারকীয় হামলায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল। আল কায়েদার পর ইসলামপন্থি কট্টর জঙ্গি সংগঠন আইসিসের উত্থান ঘটেছে এ বছরেই। থাইল্যান্ডে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় চমক সৃষ্টি করে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন অতি সাধারণ একজন মানুষ জোকো উইডোডো। ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া দখল করেছে রাশিয়া। এমনি অনেক ঘটনায় ভরা ২০১৪ সাল। সেখান থেকে সংক্ষেপে বহুল আলোচিত কয়েকটি ইভেন্ট এখানে তুলে ধরা হলো: 
মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের দুই বিমান
এ বছরটা হয়তো ভুলেই যেতে চাইবে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। এ বিমান পরিবহন প্রতিষ্ঠানটির একটি বিমান এ বছর হারিয়ে যায়, অপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনে। কয়েক দিনের মধ্যেই ঘটে যাওয়া দু’টি ঘটনার ধাক্কায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় প্রতিষ্ঠানটি, যদিও এর পেছনে তাদের কোন ভূমিকাই নেই। এ বছরে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে যেসব ঘটনা ছিল, তার মধ্যে অন্যতম মালয়েশিয়া এয়ারলাইনের ফ্লাইট ৩৭০ বিমানটির অন্তর্ধান। বিমানটি ৮ই মার্চ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। এর এক ঘণ্টারও কম সময় পর দক্ষিণ চীন সাগরে সর্বশেষ অবস্থান রেকর্ড করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। এরপর থেকেই যেন লাপাত্তা বিমানটি। ১২ মালয়েশিয়ান ক্রু ও ১৫টি দেশের ২২৭ যাত্রী ছিল এতে। তবে যাত্রীদের বেশির ভাগই ছিলেন চীনা যাত্রী। আর খোঁজ পাওয়া যায়নি বিমানটির। এর কয়েক দিন পরই মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের আরেকটি বিমানের ভাগ্যে নেমে এলো দুর্ভাগ্য। নেদারল্যান্ডসের দুই শতাধিক যাত্রীসহ আরও যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনের আরেকটি ফ্লাইট এমএইচ ১৭ ইউক্রেনের সংঘাতপূর্ণ এলাকার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। ইউক্রেনের সরকারের ও রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের মধ্যে তখন সংঘর্ষ চলছিল। এমনই এক সময় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। বিমানের সকল যাত্রী মারা যান।
থাইল্যান্ডে সামরিক অভ্যুত্থান
এ বছরের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো- থাইল্যান্ডে রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থান। এর ফলে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ইংলাক শিনাওয়াত্রার সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। গত ৭ই মে, সাংবিধানিক আদালত ২০১১ সালে এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিতর্কিত বদলির আদেশ নিয়ে দেয়া এক রায়ে ইংলাক ও তার মন্ত্রীসভার ৯ সদস্যকে সর্বসম্মতিক্রমে পদ থেকে অপসারণ করে। মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরা তখন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী নিয়ত্থামরং বুনসংপাইসানকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে। এরপর ২১শে মে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার অজুহাতে থাই সেনাপ্রধান জেনারেল প্রায়ুথ চ্যান ওচার নেতৃত্বে এক অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। দেশব্যাপী সামরিক আইন ও জরুরি অবস্থা জারি করে তারা। একটি সামরিক জান্তা গঠন করা হয় দেশ শাসনের উদ্দেশ্যে। তখন দেশব্যাপী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জান্তা বিরোধী কর্মীদের গ্রেপ্তার ও আটক শুরু হয়। গ্রেপ্তার থেকে বাদ যান নি ইংলাক সিনাওয়াত্রাও। তার পরিবারের দুই সদস্য সহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এখনও তিনি কারাগারেই আছেন। অভ্যুত্থানের পেছনে সমর্থন ছিল দেশটির প্রভাবশালী রাজপরিবারের। পশ্চিমা দেশগুলো এর বিরোধিতা করলেও সমর্থন দিয়েছে চীন। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল প্রায়ুথ।
ভারতে ধর্ষণ কাণ্ড
বছরের অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল ভারতের উত্তর প্রদেশে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ ও গাছে ঝুলিয়ে হত্যার অভিযোগ, উত্ত্যক্তকারীকে দুই বোনের মারধরের ঘটনা, সর্বশেষ ট্যাক্সি সার্ভিস উবারের এক ট্যাক্সিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ। ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে মোটামুটি ভারতজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে এ বছর। দেশটির চতুর্থ সাধারণ অপরাধ হচ্ছে ধর্ষণ। এ বছরের ২৭শে মে উত্তর প্রদেশের বাদাউনে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ ওঠে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রাতে বের হলে তাদের আর পাওয়া যায়নি। এরপর সকালে তাদের বাড়ির পাশের মাঠে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু ২৭শে নভেম্বর দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে সিবিআই জানায়, ওই দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, এমন কোন প্রমাণ তারা পায়নি। এরপর বছরের প্রায় শেষের দিকে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয় অনলাইনে ট্যাক্সি সার্ভিস দেয়া প্রতিষ্ঠান উবার। উবার নিয়ন্ত্রিত ট্যাক্সিতে থাকা অবস্থায় এক নারী যাত্রীকে চালক শিব কুমার যাদব ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই চালক এর আগেও এক মার্কিন নারীর সঙ্গে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। উবার কর্তৃপক্ষ ঘটনার জন্য ক্ষমা চায় ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। শেষ পর্যন্ত দিল্লী থেকে উবারসহ চারটি ট্যাক্সি ক্যাব সার্ভিসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আইএস-এর উত্থান
এ বছর বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে আলোচনায় ছিল সম্ভবত আইএস-এর উত্থান। আবু বকর আল বাগদাদি নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে গড়ে ওঠে এই কট্টর সুন্নী সংগঠনটি। ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী বিশাল অঞ্চল দখলে নিয়ে নেয় তারা। একই মাসে জর্দান-ইরাক সীমান্তের ত্রাবিল ক্রসিং দখল করে আইএস। জুন মাসের ২৯ তারিখে তারা বিশ্বব্যাপী খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। আবু বকর আল বাগদাদিকে এই খেলাফতের খলিফা হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। জুলাই মাসে আইএস প্রায় ৬৩০০ যোদ্ধা সংগ্রহ করে। ৩রা আগস্ট আইএস উত্তর ইরাকের জুমার, সিনজার ও ওয়ানা শহর দখল করে নেয়। অকাতরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মুসলমানদের অমুসলিম আখ্যা দিয়ে হত্যা করতে থাকে আইএস। সে সময় সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সমপ্রদায়ের উপর তাদের গণহত্যার হুমকি সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ জন্ম দেয় বিশ্বজুড়ে। এ অবস্থায় আইএস-এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়। ৮ই আগস্ট আইএস-এর উপর বোমা নিক্ষেপ শুরু হয়। ১১ই অক্টোবর ২০১৪ তারিখে আইএস ইরাকের অনেক বড় শহর দখল করা শেষে রাজধানী বাগদাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তারা এমনকি বাগদাদ বিমানবন্দরের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে চলেও যায়। এর মধ্যেই শুরু হয় মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিমান হামলা। মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা বহু দেশ এ হামলায় অংশ নেয়। প্রথমে এ হামলা ইরাকে সীমাবদ্ধ থাকলেও, ক্রমেই সিরিয়ায়ও তা ছড়িয়ে পড়ে। আইএস-এর বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যার অভিযোগ আসে খোদ জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে। নির্বিচারে গণহত্যা, জোর করে ধর্মান্তরকরণ, সংখ্যালঘু হত্যা, ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, জোরপূর্বক বিয়ে, দাসপ্রথা, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা, অপ্রাপ্তবয়স্ক যোদ্ধা, সাংবাদিকদের উপর হামলা, বিদেশী নাগরিকদের শিরশ্ছেদ, মূল্যবান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংস করাসহ হাজার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। শিরশ্ছেদ ও হত্যাকাণ্ডের প্রচার ও প্রসারে বেশ সচেতন ছিল তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে বেশ সিদ্ধহস্ত ছিল আইএস-এর প্রচার বিভাগ। এছাড়া সিরিয়া ও ইরাকের অনেক তেলখনির তেল কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়া আলোচনার জন্ম দেয়। এছাড়া আলোচনা হয়, পশ্চিমা যুবকদের এ সংগঠনে যোগ দেয়ার হার নিয়ে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কয়েকজনও পশ্চিমা নাগরিকও আইএস-এ যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের অনেককে শাস্তিও দেয়া হয়েছে। তবে পশ্চিমা হামলায় এখন আইএস নির্মূল না হলেও, আগের চেয়ে শক্তিমত্তার হ্রাস হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন
এ বছরের আরেকটি আলোচিত ও সমালোচিত ঘটনা ছিল ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন। গাজায় ফিলিস্তিনি বাহিনীর হামলায় ২২০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়, এদের  বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। হামাসের রকেট হামলার অজুহাতে গাজায় ৮ই জুলাই ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালায়। এরপর থেকে ৭ সপ্তাহ ধরে চলে গাজায় ইসরাইলি বোমাবর্ষণ। মূলত ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি এলাকা থেকে তিন ইসরাইলি কিশোর অপহৃত হওয়ার ঘটনায় অশান্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। ইসরাইলি উগ্রবাদী সংগঠনগুলো এ ঘটনায় হামাসকে দায়ী করে। হামাস ঘটনা অস্বীকার করে। এরপর ইসরাইলি পুলিশের অভিযানে শ’ শ’ ফিলিস্তিনি আটক হয়। অপরদিকে উগ্রবাদী ইহুদীদের হামলায় নিহত হয় কয়েকজন ফিলিস্তিনি। এরপর থেকে আটককৃতদের মুক্তি দাবিতে হামাস ইসরাইলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায়। এর বেশির ভাগই ধ্বংস করে দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সুড়ঙ্গপথে হামাসের হামলা ও রকেট হামলা থামানোর অজুহাতে ইসরাইল হামলা করে ফিলিস্তিনের গাজায়। প্রথমে বিমান হামলা দিয়ে শুরু। কেবলমাত্র আগস্ট মাসেই প্রায় ২০ হাজার টন বিস্ফোরক নিক্ষিপ্ত হয়েছিল গাজার বুকে। এ হামলায় প্রায় ২২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এদের মধ্যে ৫১৩ জনই শিশু। আহত হয় প্রায় ১১০০০। অপরদিকে ৬৬ ইসরাইলি সেনা ও ৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয় অভিযানে। এ সময় ৪৬৯ ইসরাইলি সেনা ও ২৬১ বেসামরিক ইসরাইলি নাগরিক আহত হয়। একটি মানবাধিকার সংস্থা জানায়, এ হামলায় প্রায় ৩০ ভাগ বা ৫ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ লাখ ৮৫ হাজার মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ ৯০টি জাতিসংঘ চালিত বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রায় ১৭২০০ ফিলিস্তিনির বাড়িঘর সমপূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল, আংশিকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়েছে ৩৭৬৫০টি বাড়ি। মিশরের মধ্যস্থতায় হামাসের সঙ্গে এক চুক্তির মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ যুদ্ধ। যুদ্ধের পর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আসে ইসরাইলের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলার করার প্রস্তুতি নেয়া হলেও, মার্কিন প্রভাবে তা থমকে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন সংঘর্ষ
গত বছর থেকে ইউক্রেনে শুরু হয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে দেশটির অন্তর্ভুক্তির পক্ষে আন্দোলন। রাশিয়া বারবার এর বিরোধিতা করে হুমকি দিয়ে যায়। অবশেষে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলনের এক পর্যায়ে ২০১০ সালে নির্বাচিত হওয়া রাশিয়াপন্থি ইউক্রেনিয়ান প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের পতন ঘটে। পশ্চিমাপন্থি সরকার অধিষ্ঠিত হয় ক্ষমতায়। রাশিয়া একে সম্পূর্ণ নিজের স্বার্থবিরোধী হিসেবে বিবেচনা করে। এক পর্যায়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করে রাশিয়ান সেনারা। দখল করে নেয় রুশভাষী অধ্যুষিত ক্রিমিয়া। ক্রিমিয়া প্রথমে গণভোটের মাধ্যমে স্বাধীন হয়, এরপর যুক্ত করে নেয়া হয় রাশিয়ার অংশ হিসেবে। এরপর ইউক্রেনের রুশভাষী অধ্যুষিত অন্যান্য অঞ্চলে শুরু হয় সশস্ত্র বিদ্রোহ। পশ্চিমা দেশগুলো ও ইউক্রেনের সরকার রাশিয়ার বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে কঠোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। অবরোধের মূল লক্ষ্যবস্তু হয় রাশিয়ার শক্তিশালী জ্বালানি ও অস্ত্র খাত। এর ফলে ক্রমেই অবনতির দিকে চলে যায় রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা। রুবল বর্তমানে কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.