বকশীবাজারে সংঘর্ষ

(জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে আজ বুধবার আদালতে যাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পুরান ঢাকার বকশীবাজার এলাকার আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ তাই পুলিশের সতর্ক অবস্থান। ছবি: মনিরুল আলম) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে পুরান ঢাকার বকশীবাজার এলাকার আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফজলে রাব্বী হলের মোড়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফজলে রাব্বী হলের মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। এ সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এলাকা থেকে তাঁদের মিছিলে ধাওয়া দেওয়া হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ তাঁদের ওপর হামলা চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় একজনের মাথা ফেটে যায়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের বেশ কয়েকটি শেল ছোড়ে।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনের গেটে রাস্তার ওপরে আগুন জ্বালানো হয়। বিএনপির একদল নেতা-কর্মী ঢাকা মেডিকেলের পেছনের গেটে অবস্থান নেন। তাঁরা সেখানে স্লোগান দেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর আদালতের দিকে রওনা হয়। পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিশেষ এজলাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা দুটির বিচারকাজ চলছে। আদালত এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভিড় করেছেন। সকাল থেকে রাজধানীর কাকরাইল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের একটি গাড়ি দেখা গেছে। কার্যালয়ে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী যাননি। বিচারকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না—জানতে চাইলে মতিঝিলের অতিরিক্ত উপকমিশনার রাফিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আগে নিরাপত্তাব্যবস্থা যা ছিল, এখনো তাই রয়েছে। গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী বিচারক নিয়োগ ও মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন। উচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেন। গত সপ্তাহে বিচারক বাসুদেব রায়কে বদলি করে তাঁর স্থলে আবু আহমেদ জমাদ্দারকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.