দারুস সালামে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ গ্রেপ্তার ৫

প্রেমিক ও তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করেছে প্রেমিকাকে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গতকাল রাতে পাঁচ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর দারুসসালাম থানাধীন বাতেন নগর এলাকায়। ওই এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ওই তরুণী। এ ঘটনায় প্রেমিক জনিসহ ধর্ষকদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের আগের দিন রোববার রাত ৯টার দিকে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে বাসা থেকে তরুণীকে ডেকে নিয়ে যায় প্রেমিক জনি। বাতেন নগর এলাকায় জনির সামনে গেলে সে তাকে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে কিছু সময় দু’জনের মধ্যে কথা হয়। কথা বলার মধ্যেই জনির সাত জন বন্ধু ওই নির্মাণাধীন ভবনে ঢোকে। এসময় ওই তরুণীকে জনি ও তার বন্ধুরা মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তরুণী চিৎকার করার চেষ্টা করলে তারা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে কাউকে কিছু না জানানোর হুমকি দিয়ে রাত প্রায় সাড়ে ১১টায় তরুণীকে ছেড়ে দেয় তারা। বিষয়টি তরুণী তার নানা-নানীকে জানালে ধর্ষকরা তাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। দারুসসালাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম কাওসার আহমেদ জানান, মামলা দায়েরের পর দারুসসালাম থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই তরুণীর প্রেমিক জনিসহ আরও তিন জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার পর ধর্ষকদের হুমকিতে ধর্ষিতা তরুণী আতঙ্কে ছিলেন। এ কারণে ঘটনার একদিন পর সোমবার তিনি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- ফয়সাল ওরফে গোগা ফয়সাল (২৪), তুষার (২২), আশিক মাহমুদ (২৪), রাসেল মিয়া (২১) এবং সানি ওরফে রুবেল (২২)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা তরুণী একজন পোশাক শ্রমিক। কারখানায় আসা-যাওয়ার পথেই জনির সঙ্গে তার পরিচয়। পরিচয় থেকে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জনি মিরপুর-১ এলাকার একটি দোকানের কর্মচারী। তার সঙ্গী অন্যরা কেউ দোকানের কর্মচারী, কেউ পরিবহন শ্রমিক। ধর্ষিতা তরুণীর গ্রামের বাড়ি বরিশালের কোতোয়ালি থানায়। তার পিতা নেই। দারুসসালামের আনন্দনগর এলাকার ঈষিপাড়া এলাকায় নানা-নানীর সঙ্গে থাকেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.