অভিমত : একটি প্রত্যাশা by ডা: এ জি খান

আধুনিক সংবাদপত্র জগতের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর যাত্রা শুরু করেছিল দৈনিক নয়া দিগন্ত। উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি একঝাঁক তরুণ, মেধাবী ও প্রতিষ্ঠিত সংবাদকর্মীর সমন্বয়ে যাত্রার শুরুতেই দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় পত্রিকাটি। বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে বিভন্ন বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে আরেকটি বর্ষে পদার্পণ করেছে এই পত্রিকা। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পাঠকদের হৃদয় কেড়ে ধারাবাহিকভাবে দেশের সংবাদপত্র জগতের অন্যতম শীর্ষ স্থান দখল করে রেখেছে নয়া দিগন্ত।
দৈনিক নয়া দিগন্ত শুধু একটি সংবাদপত্রই নয়, এটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দল, মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের মনের খোরাক মেটানো, অন্যায় ও দুর্নীতির প্রতিবাদ, সর্বোপরি দেশ ও জাতির স্বার্থরক্ষার এক মূর্তপ্রতীক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। অল্প সময়ে পত্রিকাটির এ সাফল্য প্রতিদ্বন্দ্বী মহলকে বেশ চিন্তিত করেছে। এরই অংশ হিসেবে কোনো কোনো মহল জনমানুষের কণ্ঠস্বর এ পত্রিকাটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ ও অভিযোগ করে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এর প্রকাশনা থামিয়ে দিতে। তবে সংশ্লিষ্টদের সুদৃঢ় অবস্থান আর লাখ লাখ পাঠকের ভালোবাসায় সাহসের সাথে চলে পত্রিকাটি আপন গন্তব্যে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে নয়া দিগন্তের বর্তমান অবস্থান নিয়েই থেমে থাকলে চলবে না। বর্তমান আধুনিক ও প্রতিযোগিতার যুগে এটাকে নিয়ে যেতে হবে আরো উচ্চ স্থানে। আরো বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি দেশ ও জাতির চাহিদা পূরণে নতুন নতুন পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। কাগজে পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইনে যেন সারা বিশ্বের মানুষ সর্বশেষ সব খবর ও তথ্য সহজেই জানতে পারে সে ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে হবে। দেশের সব অন্যায়, অনাচার, রুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবস্থান নিয়ে দেশ-জাতির কল্যাণে আরো বিশেষ ভূমিকা রেখে নয়া দিগন্ত বাস্তবে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে আমরা সেই কামনা করছি। আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি নয়া দিগন্ত পরিবারকে।

No comments

Powered by Blogger.