সৈকতে যৌনতা : বিপত্তি গড়াল হাসপাতাল পর্যন্ত

সাগরতীরে ছুটি কাটাতে গিয়ে মহা বিপাকে পড়লেন ইতালীয় প্রেমিক জুটি। অভিনব শারীরিক অবস্থার কারণে চরম বেদনাময় এবং লজ্জাজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হলো তাঁদের। শেষে নিষ্কৃতি পেতে ছুটতে হলো হাসপাতালে। খবর এই সময়ের। অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের তীরে অবসর যাপনের মনোরম ঠিকানা পোর্তো স্যান জিয়র্জিও। ছবির মতো সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলি সমৃদ্ধ পর্যটকাবাসে বছরভর ভিড় জমান গোটা বিশ্বের মানুষ। ছুটির কয়েকটা দিন নিজেদের মতো করে কাটাতে একরত্তি সৈকত শহরকেই বেছে নিয়েছিলেন ইতালীয় যুবক ও তাঁর প্রেমিকা।

একে ছুটির আনন্দ, তার সঙ্গে প্রেমাস্পদের ঘনিষ্ঠ উপস্থিতি। দিন-রাতজুড়ে তাঁরা মেতে ওঠেন মন ও শরীর দেওয়া-নেওয়ার খেলায়। ক্রমে হোটেলের ঘর ছাপিয়ে সেই ভালোবাসার রেশ ছড়িয়ে পড়ে প্রকৃতির আঙিনায়। সমুদ্রে গোসল করতে নেমে ঢেউয়ের আড়াল খুঁজে নিয়ে চলে উদ্দাম রতিক্রীড়া। পানির নীচে শরীরের নিম্নাংশ ডুবিয়ে দিয়ে যৌন মিলনসুখে হারিয়ে যান দুজন। আর বিপদ ঘটে তখনই।
সঙ্গমের মাঝে যুবক আবিষ্কার করেন, প্রেমিকার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে পড়েছেন। বহু চেষ্টা করেও নিজেকে মুক্ত করতে পারেন না তিনি। জোর করে নিজেদের ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই শুরু হয় অসহ্য ব্যথা। ফলে অচিরেই ক্ষান্ত দিতে হয়। এদিকে সময় বয়ে চলে। সেকেন্ড গড়ায় মিনিটে, মিনিট ঘণ্টার দিকে ধায়। তবু অদ্ভুত বন্দিদশা থেকে রেহাই মেলে না যুগলের।
কিন্তু কাঁহাতক এই অবস্থায় হাঁটুপানিতে পড়ে থাকা যায়? তা ছাড়া সহ্যের সীমা পার করে ব্যথার তীব্রতা। ইতিমধ্যে 'আপত্তিজনক' অবস্থায় যুগলকে দেখতে পেয়ে হাজির হয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবক। বিষয়টি বোঝার পর তোয়ালেতে মুড়ে সেই অবস্থাতেই তাঁদের উদ্ধার করা হয়। অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে ইনজেকশনের সাহায্যে ওষুধ প্রবেশ করিয়ে শিথিল করা হয় তরুণীর যোনি। মুক্তি পান যুবক।
কিন্তু কী কারণে এমন বিড়ম্বনায় পড়লেন তাঁরা?

চিকিৎসকদের মতে, যৌন মিলনের সময় এমন ঘটনা বিরল হলেও অসম্ভব নয়। চিকিৎসার পরিভাষায় এই শারীরিক অসঙ্গতির নাম 'পেনিস ক্যাপ্টিভাস'।
জানা গেছে, সঙ্গমের সময় সাধারণত যোনির পেশি নির্দিষ্ট ছন্দে সঙ্কুচিত ও শিথিল হয়। কিন্তু কখনো এই প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটলেই বিপত্তি। সঙ্কুচিত যোনির পেশি শিথিল অবস্থায় ফিরে আসতে ব্যর্থ হয়। আড়ষ্ট পেশির ফাঁকে আটকে যায় পুরুষাঙ্গ। এমনই কঠিন সেই নাগপাশ, যে চিকিত্ৎসকের সাহায্য ছাড়া রেহাই পাওয়া অসম্ভব।

No comments

Powered by Blogger.