২০ ভাগ টিন উৎপাদন বাড়াবে অ্যাপোলো ইস্পাত

ঢেউটিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপোলো ইস্পাত জার্মান প্রযুক্তির রেডিয়েন্ট টিউব ফারনেস সমৃদ্ধ নন অক্সিডাইজডনির্ভর কন্টিনিউয়াস গ্যালভানাইজিং প্ল্যান্টের কাজ শুরু করেছে। নতুন এ প্রযুক্তি পরিবেশবান্ধব। প্লান্ট স্থাপন প্রক্রিয়া শেষ হলেই উন্নত প্রযুক্তির ঢেউটিন বাজারজাত করবে অ্যাপোলো ইস্পাত। গতকাল রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অ্যাপোলো ইস্পাতের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহমান এসব কথা বলেন। এ সময় কোম্পানির চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনসার আলী, পরিচালক এম এ মজিদ, মোহাম্মদ রফিক, মহা-ব্যবস্থাপক মো. হাসান এস হান্নান, কোম্পানির পরামর্শক মো. শেখ সাদিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। আবদুর রহমান বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থবিরতা ও কাঠামোগত ব্যবস্থার কিছু দুর্বলতার (গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি) জন্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমস্যা হলেও অ্যাপোলো ইস্পাত সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। আশা করছি শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে। চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ বলেন, অ্যাপোলো ইস্পাতের সঙ্গে সাংবাদিকদের সবসময় যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। কোম্পানিটির সার্বিক পরিস্থিতি ও ব্যাণিজ্যিক অগ্রগতি অবহিত করা হবে। এছাড়া সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ঢেউটিন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিনিয়তই নতুন উদ্যোগে যুক্ত হচ্ছে কোম্পানিটি। 
সমপ্রতি অ্যাপোলো ইস্পাত জাপানের বিখ্যাত স্টিল কোম্পানি ম্যারুবেনি-ইতোচুর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে। সাশ্রয়ী, উন্নত ও মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে অ্যাপোলো ইস্পাত জার্মান প্রযুক্তির রেডিয়েন্ট টিউব ফারনেস (আরটিএফ) সমৃদ্ধ নন অক্সিডাইজড ফার্নেসনির্ভর কন্টিনিউয়াস গ্যালভানাইজিং (সিজিএল) প্ল্যান্টের কাজ শুরু করেছে। পরিবেশবান্ধব এ প্রযুক্তি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশেও শিগগিরই এ প্রযুক্তির ঢেউটিন বাজারে আনছে কোম্পানিটি। বর্তমানে অ্যাপোলোর রয়েছে নিজস্ব কোল্ড রোল্ড প্ল্যান্ট। যার মাধ্যমে ঢেউটিনের মূল কাঁচামাল সিআর কয়েল উৎপাদিত হয় এবং আরও রয়েছে ঢেউটিন উৎপাদনের জন্য জাপানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত নিপ্পন ড্যানরোর দু’টি কন্টিনিউয়াস গ্যালভানাইজিং প্ল্যান্ট (সিজিএল)।

No comments

Powered by Blogger.