জরুরি অবস্থা জারি হবে আত্মঘাতী: আনু মুহাম্মদ
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, জরুরি অবস্থা জারি করলে তা হবে আত্মঘাতী। সরকার যদি পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে জরুরি অবস্থা জারি করে, তাহলে তা কারও জন্যই ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না।
আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে বিকেল চারটার দিকে লেখক-শিল্পী-সংস্কৃতি কর্মী-পেশাজীবী-শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীদের বিভিন্ন ব্যানারে আয়োজিত এক সমাবেশে আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন।
বিরোধী দলের উদ্দেশে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আপনারা আন্দোলনের নামে জনগণকে অবরুদ্ধ করে রাখতে পারেন না। পারলে সরকারকে অবরুদ্ধ করেন, মন্ত্রণালয় অবরোধ করেন। জনবিচ্ছিন্ন আন্দোলন না করে জনগণের কাছে যান, নিজেদের জনপ্রিয়তা পরীক্ষা করেন।’ সমাবেশে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘দেশ আজ দুই রাজনৈতিক দলে বিভক্ত হয়ে গেছে, এটা আমি মনে করি না। আমি মনে করি, দেশ আজ দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ; আরেক দিকে ১৬ কোটি মানুষ। জনগণ জনগণের পক্ষেই আছে। অথচ দুই বড় দল দাবি করছে জনগণ তাদের পক্ষে আছে। ওই চার দলের মৌলিক নীতিতে কোনো পার্থক্য নেই। দেশের রাজনীতির ভবিষ্যত্ আজ দূতাবাসে বসে বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এসে ঠিক করছেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘যখন আওয়ামী লীগ আমেরিকাকে খুশি করতে টিকফা চুক্তি করে, তখন প্রধান বিরোধী দল আমেরিকাকে আরও খুশি করতে টিকফা চুক্তির সমর্থন জানায়। প্রভুদের খুশি করতে এই দুই দলের নীতিতে কোনো পার্থক্য নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ স্বৈরাচার মুক্ত দিবস। এই দিনে জেনারেল এরশাদের পতন হয়েছিল। এরশাদের পতন আন্দোলনে নূর হোসেনের বুকে লেখা ছিল “স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।” কিন্তু স্বৈরাচার নিপাত যায়নি, গণতন্ত্রও মুক্তি পায়নি। স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতীক এরশাদ এখনো বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষমতায় কে যাবে তা নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। একদল স্বৈরাচারকে কাছে টানছে, আরেক দল রাজাকারকে কাছে টানছে। এই দুই নীতিহীন রাজনৈতিক ধারার বিরুদ্ধে জনগণের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। লড়াইয়ের মাঠে নামতে হবে।’
সাংস্কৃতিক কর্মী অরূপ রাহীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক স্বপন আদনান, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী প্রমুখ।
বিরোধী দলের উদ্দেশে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আপনারা আন্দোলনের নামে জনগণকে অবরুদ্ধ করে রাখতে পারেন না। পারলে সরকারকে অবরুদ্ধ করেন, মন্ত্রণালয় অবরোধ করেন। জনবিচ্ছিন্ন আন্দোলন না করে জনগণের কাছে যান, নিজেদের জনপ্রিয়তা পরীক্ষা করেন।’ সমাবেশে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘দেশ আজ দুই রাজনৈতিক দলে বিভক্ত হয়ে গেছে, এটা আমি মনে করি না। আমি মনে করি, দেশ আজ দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ; আরেক দিকে ১৬ কোটি মানুষ। জনগণ জনগণের পক্ষেই আছে। অথচ দুই বড় দল দাবি করছে জনগণ তাদের পক্ষে আছে। ওই চার দলের মৌলিক নীতিতে কোনো পার্থক্য নেই। দেশের রাজনীতির ভবিষ্যত্ আজ দূতাবাসে বসে বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা এসে ঠিক করছেন। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘যখন আওয়ামী লীগ আমেরিকাকে খুশি করতে টিকফা চুক্তি করে, তখন প্রধান বিরোধী দল আমেরিকাকে আরও খুশি করতে টিকফা চুক্তির সমর্থন জানায়। প্রভুদের খুশি করতে এই দুই দলের নীতিতে কোনো পার্থক্য নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ স্বৈরাচার মুক্ত দিবস। এই দিনে জেনারেল এরশাদের পতন হয়েছিল। এরশাদের পতন আন্দোলনে নূর হোসেনের বুকে লেখা ছিল “স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।” কিন্তু স্বৈরাচার নিপাত যায়নি, গণতন্ত্রও মুক্তি পায়নি। স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতীক এরশাদ এখনো বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষমতায় কে যাবে তা নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। একদল স্বৈরাচারকে কাছে টানছে, আরেক দল রাজাকারকে কাছে টানছে। এই দুই নীতিহীন রাজনৈতিক ধারার বিরুদ্ধে জনগণের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। লড়াইয়ের মাঠে নামতে হবে।’
সাংস্কৃতিক কর্মী অরূপ রাহীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক স্বপন আদনান, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী প্রমুখ।
No comments