বিশ্বায়নের কাল লন্ডন সফরে কী পেলেন রাজনীতিকেরা? by কামাল আহমেদ

গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক এক সেমিনারে অংশ নিতে বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের ১৫ জন নেতা লন্ডন ঘুরে গেলেন। সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দুজনেই বললেন,
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে এ ধরনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা বাংলাদেশে সম্ভব হলে ভালো হতো। এ জন্য তাঁদের কণ্ঠে যে কোনো আক্ষেপ ছিল, তেমনটা বলা যাবে না। আর লজ্জার তো প্রশ্নই ওঠে না। দেশে নিজেদের ঝগড়া মেটাতে না পারায় আবার লজ্জা কিসের? এ রকম আরও অনেক দেশই তো আছে, যেখানকার রাজনীতিকেরা তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতার জন্য দেশের বাইরে সমঝোতা সম্মেলনে অংশ নেন। অবশ্য ওই সব দেশ হয় গৃহযুদ্ধে লিপ্ত, নয়তো গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে।
সেমিনারের পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে আমি বললাম, দেশের মধ্যে আপনারা একসঙ্গে বসতে পারেন না, এই কথাটা তো আপনি ঠিক বলেননি। সারাক্ষণ টেলিভিশনের পর্দায় তো আপনারা একে অন্যের সঙ্গে বিতর্ক করছেন। টিভি চ্যানেল বা পত্রিকার জন্মদিনে ঘটা করে একসঙ্গে কেক কাটছেন এবং এক দলের নেতা অন্য দলের নেতাকে মুখে তুলে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন। আসল সমস্যা তো একসঙ্গে বসতে না পারা নয়, আসলে তো আপনারা জাতীয় বিষয়গুলোতে সমাধান চান না অথবা সেগুলোর সমাধান আপনাদের সাধ্যের অতীত?
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত উত্তর দেওয়ার আগেই তাঁর পাশে থাকা শমসের মবিন চৌধুরী বললেন, আমরা তো একসঙ্গেই আছি। আমি সিলেটে গেলে দাদাকে নিয়েই তো যাই। আর দাদাও হাসতে হাসতে মি. চৌধুরীর হাত ধরে ভিড়ের মধ্যে মিলিয়ে গেলেন।
কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা এ ধরনের বন্ধুত্ব না হোক, ন্যূনতম শালীনতাও বজায় রাখতে দেখি না। সে জন্যই রাজনীতিতে যুক্তিতর্কের গ্রহণযোগ্যতার বদলে আমাদের পছন্দ রাজপথে শক্তির মহড়া এবং সহিংসতা, যার অবশ্যম্ভাবী মূল্য দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হয়তো বিশ্বজিৎ, নয়তো বাসযাত্রী কিংবা অটোরিকশাচালক। এই রাজনৈতিক বিবাদে ধর্মের ব্যবহার ডেকে এনেছে নতুন বিপদ। ধর্মীয় উগ্রপন্থার উত্থানের আশঙ্কা বিদেশি বন্ধুদেরও শঙ্কিত করে তুলেছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক সর্বদলীয় কমিটির ভাইস চেয়ার লর্ড অ্যাভবেরি আহূত সেমিনারে তাই ব্রিটিশ রাজনীতিকদের সবার বক্তব্যেই সহিংসতা পরিহার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং আগামী নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আকুতিই ছিল প্রবল।
সব বিষয়ে বাড়িয়ে বলার দোষ আমাদের খুব পুরোনো। ঢাকার কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে এই সেমিনারকে হাউস অব লর্ডসের সেমিনার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে আবার কেউ কেউ এটিকে একটি এনজিওর গুরুত্বহীন আয়োজন বলেও সমালোচনা করেছেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নানা বিষয়ে এবং প্রায় প্রতিটি দেশকে কেন্দ্র করে সর্বদলীয় কমিটি রয়েছে। হাউস অব কমন্সে ১৯৮৫ সালে গৃহীত এক প্রস্তাবের আলোকে এসব সর্বদলীয় কমিটি বিভিন্ন বিষয়ে পার্লামেন্টারিয়ানদের মতবিনিময়ের অনানুষ্ঠানিক ফোরাম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। কমিটিগুলো পার্লামেন্টের আনুষ্ঠানিক অংশ নয়, তবে উভয় হাউসের (কমন্স এবং লর্ডস) অন্তত ২০ জন সদস্য (যাঁদের মধ্যে অন্তত ১০ জন হতে হবে সরকারি দলের) না থাকলে সেই কমিটি কোনো স্বীকৃতি (রেজিস্ট্রেশন) পায় না। সুতরাং, বিভিন্ন নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের ওপর এসব কমিটির সদস্যদের প্রভাব থাকাটাই স্বাভাবিক।
লর্ড অ্যাভবেরি মানবাধিকারবিষয়ক সর্বদলীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের মানবাধিকার, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়ে বহুদিন ধরে কাজ করে আসছেন। এবার তাঁর উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশবিষয়ক সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি কমিটিও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত থাকায় এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। তবে, তাতে মন্ত্রী পর্যায়ের তিনজন, একজন প্রতিমন্ত্রী, প্রধান বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের একাধিক নেতার পাশাপাশি শিক্ষানবিশ রাজনীতিকদের উপস্থিতি কতটা প্রয়োজন ছিল, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সেমিনারের সংগঠকদের কাছ থেকে জেনেছি, তাঁরা প্রথমে যাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, সময়মতো তাঁদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে বিকল্প কয়েকজনের কাছে আমন্ত্রণ পাঠান। এরপর সবাই একযোগে সম্মতি দেওয়াতেই বিপত্তি। শেষ পর্যন্ত ১৫ জনের মধ্যে এইচ টি ইমাম আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া আর কারও দুই থেকে তিন মিনিটের বেশি কথা বলার সুযোগ হয়নি। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মতো দলগুলোর নেতৃত্বের কাঠামোয় আধুনিকায়ন আর কবে হবে, কবে তাঁরা চৌকস হবেন তা কে জানে? তাঁরা যদি দুই থেকে তিনজনের মধ্যে বক্তার তালিকা সীমিত রাখতেন, তাহলে আরও অর্থপূর্ণ আলোচনা হয়তো সম্ভব হতো।
এইচ টি ইমাম এবং আওয়ামী লীগের সব নেতাই ধর্মীয় উগ্রপন্থার উত্থানের বিপদকে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে তুলে ধরেন। তাঁরা শাহ আহমদ শফীর চরম নারীবিদ্বেষী ওয়াজের উদ্ধৃতি এবং হেফাজতের ১৩ দফা কতটা পশ্চাৎমুখী সেই বিশ্লেষণ তুলে ধরে এগুলোতে বিএনপির মদদ এবং সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনেন। আর, জামায়াতের সঙ্গে জোটের কারণে বিএনপি দেশকে কতটা বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তার নানা দৃষ্টান্তও তাঁরা তুলে ধরেন। সাম্প্রতিককালের সহিংসতার কিছু ছবিসংবলিত ‘বাংলাদেশে জামায়াতের ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত’ এবং ‘একটি দুঃস্বপ্ন: বিএনপি-জামায়াত জোটের নৃশংসতা, সহিংসতা এবং ধ্বংসযজ্ঞ’ শীর্ষক দুটো ইংরেজি প্রকাশনা সভায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। স্পষ্টতই আওয়ামী লীগের কৌশল ছিল, বিদেশি বন্ধুদের এটা বোঝানো যে বাংলাদেশের সহিংসতার একটা বড় কারণ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং তাতে বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতা।
জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জামায়াতের কোনো কাজের দায়িত্ব বিএনপির নয় এবং সে বিষয়ে তাদের কাছেই জবাবদিহি চাওয়া উচিত। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি হেফাজতের প্রতিনিধিত্বও করে না। জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে বিএনপির অন্য দু-একজন বলার চেষ্টা করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ’৯৫-৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যে সহিংস আন্দোলন করেছিল, তখন তাদের সঙ্গী ছিল জামায়াত। বিএনপির কৌশল ছিল ধর্মের নামে সহিংসতার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে আলোচনা মূলত রাজনৈতিক সংকটের বিষয়ে কেন্দ্রীভূত রাখা, যেখানে তাঁদের মতে মূল সমস্যা হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলুপ্তি। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পরিত্যাগ করেছে।
সেমিনারে রাজনীতিকদের বাইরে একমাত্র বক্তা ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশবিষয়ক গবেষক আব্বাস ফয়েজ। তিনি বাংলাদেশে তাঁর সাম্প্রতিক অনুসন্ধানী সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে ৭৫টি সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর পরিচালিত হামলার বিষয়ে তাঁর নিজের তোলা ছবিসহ বিবরণ দেন। তাঁর বক্তব্য, সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ই এ ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি একটি পরিবারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, ওই বাড়িতে জামায়াতের কর্মীরা প্রথমে অগ্নিসংযোগ করে চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের সমর্থকেরা দফায় দফায় সেই একই বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে। আগামী নির্বাচনের জন্য তাই সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় অঙ্গীকার প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন, যা সেমিনারে অংশ নেওয়া সাতজন ব্রিটিশ পার্লামেন্টারিয়ানের প্রত্যেকের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা হয়তো এটা ভেবে পরিতৃপ্তি বোধ করতে পারেন যে ধর্মীয় সহিংসতায় জামায়াত-হেফাজতের সঙ্গে বিএনপির মদদের প্রমাণপত্র বিতরণ করার পর তাঁদের দায়ভার অনেকটাই লাঘব হয়েছে। আবার, বিএনপির নেতারা ভাবতে পারেন যে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে যারা ব্যর্থ, সেই সরকারের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের বন্ধু—এই ধারণাটা এবার ভুল প্রমাণিত হয়েছে। উভয় দলের নেতারা এমনটি ভাবতেই পারেন। কিন্তু, বিপদটা অন্য খানে। আর সেটা হলো বাংলাদেশটাই দলমত-নির্বিশেষে একটা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার দেশ হিসেবে চিত্রিত হওয়ার ঝুঁকি। গত বছরে রামুতে যে ধর্মীয় সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটেছিল, সেগুলোতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কেউ বাদ ছিল না। এমনকি প্রশাসন এবং পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল।
সেমিনার শেষে ভিড়ের মধ্যেই এইচ টি ইমাম আমাকে ডেকে যখন আমার কুশলাদি জানতে চাইলেন, তখন তাঁর কাছে আমি প্রশ্ন করলাম, গত ডিসেম্বরে এই একই স্থানে একই উদ্যোক্তার আমন্ত্রণে আরেকটি সেমিনারে আপনি বলেছিলেন, রামুর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার সরকারের একটি অগ্রাধিকারের বিষয়। কিন্তু সেই হামলার বিষয়ে একটি মামলার তদন্তও কি শেষ হয়েছে? একটি মামলারও কি বিচার শুরু হয়েছে? স্বভাবতই তাঁর কাছে ইতিবাচক তথ্য নেই। ধ্বংস হওয়া বৌদ্ধমন্দির এবং প্যাগোডা নির্মাণের কথা তিনি সেমিনারে জানিয়েছিলেন বলেই তাঁর কাছে ওই প্রশ্ন করেছিলাম। হেফাজতপ্রধান আহমদ শফী সম্পর্কে তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, যে ব্যক্তি নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর কথা বলেছেন বলে আপনারা সমালোচনা করলেন, তিনি এখনো কীভাবে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন? মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কারে ওই পদে আপনারাই তো তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন। তিনি স্বীকার করলেন, আহমদ শফীর ওই পদে আর থাকা উচিত নয়। এরপর ভিড়ের তোড়ে আর আলোচনা বাড়াতে পারিনি। কিন্তু, প্রশ্ন থেকেই গেছে যে হেফাজতপ্রীতির জন্য আওয়ামী লীগ বিএনপির সমালোচনায় যতটা সোচ্চার, মহাজোটের শরিক জেনারেল এরশাদের হেফাজতপ্রীতির বিষয়ে তারা ততটাই উদাসীন কেন?
রাজনীতির ক্ষণস্থায়ী কিছু উপসর্গ দেখে আমরা সেগুলোর পেছনে যতটা ছুটি ততটা কিন্তু রোগের কারণ অনুসন্ধান করি না। মাদ্রাসার হুজুরদের রাজনীতিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠার কাজটা কিন্তু করেছিলেন এই জেনারেল। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ছিল যে মাওলানা মান্নানের বিরুদ্ধে, জেনারেল এরশাদ তাঁর প্রিয় সেই মাওলানাকে দিয়ে জমিয়াতুল মুদার্রেছিন প্রতিষ্ঠা করে মাদ্রাসাগুলোর নেটওয়ার্কের প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ণে অংশ নিয়েছিলেন। তিনিই ছিলেন ওই সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। জমিয়াতুল মুদার্রেছিনের কথা এখন আর তেমন একটা শোনা যায় না। হেফাজত তারই একটি নয়া সংস্করণ কি না, সেটা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও হেফাজতের জন্য জেনারেল এরশাদের দরদ একই রকম। তাহলে কি আওয়ামী লীগ এখন জেনারেলকে কোনো আলটিমেটাম দেবে যে হেফাজতের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ না করলে মহাজোটে আপনাদের স্থান হবে না? অবশ্য শুধু আওয়ামী লীগ কেন, মহাজোটের বাম বিপ্লবীরাও এ বিষয়ে তাঁদের দৃষ্টিটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে রেখেছেন। সুতরাং, আগামী নির্বাচনে ধর্মকে ব্যবহার না করার অঙ্গীকারের আন্তরিকতা মোটেও প্রশ্নাতীত নয়।
আগামীকাল: নেতাদের তুষ্ট করার প্রতিযোগিতা লন্ডনেও
কামাল আহমেদ: প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন।

No comments

Powered by Blogger.