জাহাজ শনাক্ত করতে হাফিজকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে- ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা

চট্টগ্রামে আটক ১০ ট্রাক অস্ত্রের গনত্মব্য সম্পর্কে অনেকটা নিশ্চিত হবার পর সিআইডি এখন তৎপর অস্ত্র বহনকারী জাহাজ শনাক্ত করার চেষ্টায়। মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে জানা যেতে পারে গুরম্নত্বপূর্ণ তথ্য।
আর এ জন্যই তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ছিল হাফিজকে জিজ্ঞাসাবাদের দ্বিতীয় দিন। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ইতোমধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই'র দুই মহাপরিচালকসহ বেশ ক'জন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব ওমর ফারম্নকসহ তৎকালীন প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য মিলেছে তার ভিত্তিতে চলছে হাফিজকে জিজ্ঞাসাবাদ।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সাৰ্যপ্রমাণে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, অস্ত্রগুলো ছিল উলফার। সুতরাং এ গনত্মব্য কোথায় ছিল তাও ধরে নেয়া কষ্টসাধ্য নয়। এখন প্রয়োজন কোন্্ জাহাজযোগে এ বিরাট অস্ত্রের চালান বাংলাদেশের উপকূলে এসেছিল। জাহাজ শনাক্ত করা গেলে আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে এ চালানের নেপথ্যে কাদের প্রত্যৰ এবং পরোৰ সহযোগিতা ছিল। তবে এর আগে বিভিন্ন আসামির বক্তব্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের তিনটি শিপিং অফিসে তলস্নাশি চালানো হয়েছে। দেখা হয়েছে ঐ সময়ে জাহাজ আগমনের রেকর্ড। আসামিদের বক্তব্য এবং ফাইলপত্র পরীৰায় পাওয়া আলামতের আলোকে মূলত হাফিজকে পুনরায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিআইডির এক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ইতোপূর্বে হাফিজকে একাধিক দফায় রিমান্ডে আনা হলেও পুনরায় রিমান্ডে আনার প্রয়োজন পড়েছে অন্য আসামিদের বক্তব্য যাচাই করার জন্য। হাফিজের বক্তব্যের সঙ্গে অন্যদের বক্তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া গেলে দশ ট্রাক অস্ত্রের চালানের সঙ্গে সরাসরি সংশিস্নষ্ট এবং নেপথ্যে থাকা মহল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে, যা একটি সুষ্ঠু তদনত্ম প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়ক হবে।
উলেস্নখ্য, বুধবার সকাল ৭টার দিকে হাফিজকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে বের করা হয়। তদনত্ম কর্মকর্তা এএসপি মোঃ মনিরম্নজ্জামানের নেতৃত্বাধীন একটি টিম তাকে নিয়ে যায় ঢাকায়। সিআইডির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার রাত থেকেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরম্ন হয়।
গত ২০ জানুয়ারি সিআইডির আবেদনের প্রেৰিতে মামলার প্রধান আসামি হাফিজুর রহমানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালত। কিন্তু ২০ দিনেও হাফিজকে রিমান্ডে নেয়া হয়নি। সিআইডির চট্টগ্রাম কার্যালয় ছিল উপরের নির্দেশনার অপেৰায়। সিআইডি আশা করছে_ এবারের জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে আরও গুরম্নত্বপূর্ণ কিছু তথ্য বেরিয়ে আসবে।

No comments

Powered by Blogger.