সচেতনতার মাধ্যমেই ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব- সেমিনারে বক্তারা

গণসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধের শেস্নাগানের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস । দিবসটি উপল্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বিশেষ করে স্বাস্থ্য সংগঠনগুলো পালন করে নানা কর্মসূচী।
এসব কর্মসূচীর মধ্যে ছিল র্যালি, সেমিনার ও আলোচনা। আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। শতকরা ৪৩ ভাগ ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য। দেশে এ রোগের চিকিৎসাসেবা প্রদান খুব সীমিত। ব্যয়বহুল চিকিৎসার কারণে দরিদ্র রোগীদের নিশ্চিত মৃতু্যতে ঢলে পড়তে হয়। বেঁচে থাকার আশায় চিকিৎসার পেছনে কেউ কেউ হারিয়ে ফেলে সহায়সম্বল। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জনগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাধ্যমেই ক্যান্সারের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে হবে।
ক্যান্সার দিবস উপল েবৃহস্পতিবার আলোচনাসভার আয়োজন করে আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল। মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব) মজিবর রহমান ফকির। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান ও আমস্টারডাম ইউনিভার্সিটির ইমিরিটাস প্রফেসর ডা. এ বি এম এফ করিম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ডা. মোঃ লুৎফর রহমান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোঃ আকরাম হোসেন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ ক্যাপ্টেন (অব) মজিবর রহমান ফকির বলেন, কমিউনিটি কিনিকগুলোতে ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য সরকার প্রয়োজনীয ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারে দ জনবল তৈরির জন্য প্রশিণের ব্যবস্থা করা হবে। ক্যান্সার সচেতনতায় সরকার ও বেসরকারী সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে। কাজী রফিকুল আলম বলেন, ১৫ কোটির জনসংখ্যার এই দেশে ১০৫ জন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তৈরির জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। অন্য বক্তারা বলেন, দেশে প্রায় শতকরা ৬০ ভাগ ক্যান্সার রোগী ৫ বছরের মধ্যে মৃতু্যবরণ করে। বর্তমানে ক্যান্সার রোগীর মৃতু্যর হার শতকরা ৮ ভাগ। আগামী ২০ বছরে এই হার শতকরা ১৩ ভাগে উন্নীত হবে। সিএফসির ব্যবহার ও ওজোন সত্মর সঙ্কোচনের হাত অব্যাহত থাকলে আগামী ৫০ বছরে অতিরিক্ত ১০ কোটি মানুষ চর্ম ক্যান্সারে আক্রানত্ম হবে। ৪ কোটি ৫ লাখ মানুষের চোখের দৃষ্টি সমস্যা দেখা দেবে। এদিকে রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত স্পেশাল কেয়ার হসপিটাল এ্যান্ড ক্যান্সার সেন্টার সাত দিনব্যাপী বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজের আয়োজন করেছে। উক্ত প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ফ্রি হেলথ চেকআপ। শতকরা ৫০ ভাগ ডিসকাউন্টে সকল পরীা এবং বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ক্যান্সার সচেতনতা ও প্রতিরোধে বিশেষ পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপল ে বৃহস্পতিবার নানা কর্মসূচী পালন করে দিগনত্ম মেমোরিয়াল ক্যান্সার ফাউন্ডেশন।

No comments

Powered by Blogger.