শর্ট স্কার্ট ও হাইহিল ধর্ষণ উস্কে দেয়

শর্ট স্কার্ট ও হাইহিল পরে মেয়েরা নিজেরাই ধর্ষণকে উস্কে দেয়। এমন মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন টরি পার্টির বৃটিশ এমপি রিচার্ড গ্রাহাম।
ধর্ষণের শিকার হওয়ার জন্য মেয়েদের ড্রেস স্টাইল দায়ী নয় এমন মনোভাব পোষণকারীসহ বিভিন্ন নারীবাদী গ্রুপের প্রচণ্ড সমালোচনা ও তোপের মুখে পড়েছেন গ্লাউচেস্টারের ওই এমপি। তিনি বলেছিলেন, নাইটআউট (শর্টস্কার্ট পরে সেজেগুঁজে আনন্দ-উল্লাসে বাইরে রাত কাটানো) হচ্ছে একটি পান যার মাধ্যমে নিজেকে রিস্কে ফেলে দেয়া হয়। গ্রাহাম বলেন, আপনি যদি একজন যুবতী নারী হন যিনি ভোরে শর্টস্কার্ট ও হাইহিল পরা অবস্থায় বাসায় ফিরছিলেন। আপনি মাতাল ও নেশার ঘোরে চোখে দেখছিলেন না। কাপড়চোপড় যা আছে, তাও ঠিক নেই। এমতাবস্থায় যদি কোন শিকারির ফাঁদে পড়েন তবে কিভাবে নিজেকে বাঁচাবেন আপনি। যদিও আমাদের সামান্য পুলিশ উপস্থিতির ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু এটা আপনাকে অসৎশিকারির হাত থেকে সব সময় পূর্ণভাবে রক্ষা করতে পারবে না। আপনাকে নিজের রক্ষাকবজ ভালভাবে দেখতে হবে। যদিও আমার মতে ড্রেসই দুষ্কর্মাদের হাতে পড়ার একমাত্র কারণ নয়, তবুও এটি তেমন রিস্ক বাড়িয়ে তোলে। ধর্ষণ ও ডাকাতির হাত থেকে বাঁচার জন্য নারীদের প্রশস্ত পোশাক পরা উচিত- অভিনেত্রী জনা লুমলের এমন মন্তব্যের কয়েক দিনের মাথায় এসব কথা বললেন রিচার্ড গ্রাহাম। জনা এক ক্যাম্পেইনে বক্তব্য দেয়ার সময় বলেছিলেন, মাতাল হবেন না, বাজে পোশাক পরবেন না ও মধ্যরাতে নিজের ড্রেসের বিষয়ে সচেতন থাকুন। এটা নিজের সচেতনতার সঠিক পদ্ধতি। জনার বক্তব্যে তেমন প্রতিক্রিয়া না এলেও এমপি গ্রাহামের বক্তব্যের পর জ্বলে উঠেছে দাতব্য সংস্থাগুলো। গ্লাউচেস্টাশায়ার রেপ ক্রাইসিস সেন্টারের একজন মুখপাত্র বলেন, ধর্ষণ হচ্ছে একটি অপরাধ। মাতাল হওয়ার সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই। ধর্ষণ হয়ে থাকে নিজের ক্ষমতা জাগিয়ে তোলা ও নারীকে অসম্মান করা থেকে। রেপ ক্রাইসিস ইংল্যান্ডের ট্রাস্ট্রি জো উড বলেন, এমন মন্তব্য আমাদেরকে ১০০ বছর পেছনে নিয়ে গেছে।

No comments

Powered by Blogger.