সব জঙ্গী সংগঠনকে এক কাতারে আনার চেষ্টা করছে যুদ্ধাপরাধীরা

 দেশের সব জঙ্গী সংগঠনকে এক কাতারে আনার চেষ্টা করছে যুদ্ধাপরাধীরা। জঙ্গীদের একত্রিত করার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নস্যাত করতে গোপনে মাঠে নামবে যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গীরা।
বড় ধরনের নাশকতা চালানোর চেষ্টা করবে তারা। সফল না হলে চোরাগোপ্তা হামলার পথ বেছে নিতে পারে জঙ্গীরা। এ জন্য দল ছেড়ে যাওয়া পুরনো জঙ্গীদের আবার দলে ডাক পড়েছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, প্রকাশ্যে জঙ্গীর হাতে জঙ্গী খুনের ঘটনা এই প্রথম। ইতোপূর্বেও জঙ্গীদের হাতে জঙ্গী খুন হয়েছে। কিন্তু তা অত্যনত্ম গোপনে। এ খুনের ঘটনায় সরকার নীরবে সারাদেশে সর্তক বার্তা জারি করেছে। জঙ্গী রশিদুল কারও ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে খুন হয়নি। রশিদুল জেএমবিতে ফেরত যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করা হয়। জঙ্গীরাই রশিদুলকে খুন করেছে। এ বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। রশিদুল খুনের ঘটনাটি সুপরিকল্পিত। রশিদুলকে নানাভাবেই চেষ্টা করা হয়েছে জেএমবিতে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য। কিন্তু রশিদুল রাজি হয়নি। সে জন্য রশিদুলকে দিন দুপুরে শত শত মানুষের সামনে খুন করা হয়। এটি দল ছেড়ে যাওয়া জঙ্গীদের দলে ফেরানোর কৌশল। এটি জেএমবির একটি বার্তা। অর্থাৎ যারা দলে না ফিরবে তাদের এভাবেই হত্যা করা হবে। এ ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে বাইরে তোলপাড় চলছে। সরকারের তরফ থেকে প্রতিটি বাহিনীকে জঙ্গীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি আগাম ঘোষণা ছাড়াই জঙ্গী গ্রেফতারে অভিযান চালানোর সিদ্ধানত্ম নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রৰাকারী বাহিনী। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জঙ্গীর হাতে জঙ্গী খুন হওয়ার ঘটনা জঙ্গীদের নতুন করে সংগঠিত হওয়ার পূর্ব আলামত। বড় ধরনের অপারেশন চালানোর জন্য হার্ড লাইনে রয়েছে তারা। জঙ্গী রশিদুল খুন হওয়ার পর রাজধানীর উত্তরখান ও দৰিণখান এলাকার বাড়ির মালিকদের ভাড়াটিয়া সম্পর্কে পুলিশকে বিসত্মারিত জানাতে বলা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা জোনের ডিসি নিশারম্নল আরিফ জনকণ্ঠকে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতরাও জঙ্গী হতে পারে। আটককৃতদের মধ্যে জামাল জেএমবির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেছে। জামালের দাবি ২০০১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যনত্ম সে জেএমবির সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করেছে। বর্তমানে তার সঙ্গে জেএমবি বা জঙ্গীদের কোন যোগাযোগ নেই। জামাল ইসলাম শিৰা ও সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট নামের একটি শিৰা প্রতিষ্ঠানে ইসলাম শিৰা বিভাগের শিৰক। জামালরা তিন সহোদরের সঙ্গেও জঙ্গীদের যোগাযোগ থাকতে পারে। অন্যদিকে মিজানের বাড়ি জামালপুরে। মিজান মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছিল। আটককৃতদের কিছু কিছু বিতর্কিত জায়গায় যাতায়াত ছিল। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া নস্যাত করতেই যুদ্ধাপরাধীরা জঙ্গীদের সংগঠিত করার চেষ্টা করতে পারে। সংগঠিত জঙ্গীদের দিয়ে সুবিধাজনক সময়ে হামলা চালানো হতে পারে। বড় ধরনের হামলা চালাতে ব্যর্থ হলে জঙ্গীরা চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.