দেশে ফিরেই না-ফেরার দেশে মার্শাল

জীবন এ রকমই! মাত্র পাঁচ দিন আগেই পুরো কোস্টারিকা দলকে আনন্দে ভাসিয়েছেন ডেনিশ মার্শাল। পরশু সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবী থেকেই বিদায় নিলেন কোস্টারিকার ডিফেন্ডার।
গত শনিবার হন্ডুরাসের বিপক্ষে কনক্যাকাফ গোল্ড-কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কোস্টারিকার সমতাসূচক গোলটি করেছিলেন মার্শাল। পরে অবশ্য টাইব্রেকারে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় তাঁর দল। দেশে ফেরেন ড্যানিশ ক্লাব আলবোর্গ বিকের ২৫ বছর বয়সী ডিফেন্ডার। এই বাড়ি ফেরাই যেন কাল হলো তাঁর। পরশু সড়ক দুর্ঘটনায় চলে গেলেন না-ফেরার দেশে। পাহাড়ি মহাসড়কে গাড়ি চালাচ্ছিলেন মার্শাল। উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের ধাক্কাতেই নিভে যায় তাঁর জীবনপ্রদীপ।
মার্শাল আর কখনো হাসি-হাসি মুখ নিয়ে কথা বলবেন না, এটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাঁর এজেন্ট হোর্হে উল্লোয়া, ‘এটা অবিশ্বাস্য, আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না...। আসলে আপনি জানেন না আগামীকাল কী ঘটতে যাচ্ছে। এটাই জীবন!’
ডিফেন্ডার ছিলেন, প্রতিপক্ষের খেলার গতি নষ্ট করা ছিল কাজ। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে এর ঠিক উল্টোই ছিলেন মার্শাল। দলের সবাই প্রাণবন্ত হয়ে উঠত তাঁর হাসিঠাট্টার ছোঁয়ায়। কোস্টারিকার আর্জেন্টাইন কোচ রিকার্ডো লা ভলপের এটাই মনে পড়ছে বেশি করে, ‘আলোকিত ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছিল তরুণ মার্শালের জন্য। সহজ-সরল স্বভাবের জন্য দলের সবাই ওকে খুব ভালোবাসত। আমরা সবাই খুব মর্মামত।

No comments

Powered by Blogger.