আনন্দে ভাসছে শেখ রাসেল

খেলা শেষ হতেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অরক্ষিত গ্যালারি থেকে সমর্থকেরা এক দৌড়ে ঢুকে পড়ল মাঠে। ইচ্ছামতো সারা মাঠ দাপিয়ে বেড়াল। অরক্ষিত মাঠে যেকোনো মুহূর্তে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে খেলোয়াড়-কর্মকর্তা বা রেফারির। কিন্তু সেদিকে কারোর ভ্রুক্ষেপই ছিল না।
এরই ফাঁকে দেখা মিলল মোহামেডানের কোচ শফিকুল ইসলামের (মানিক)। শেখ রাসেলের কাছে হারের পর সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন খেলোয়াড়দের। অনামী তরুণদের নিয়ে গড়া মোহামেডানের একটা টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ওঠাই তো ছিল চমক-জাগানিয়া।
লিগের সপ্তম স্থানে থাকা মোহামেডানকে ফাইনালে না তুলতে পারলেও তাই খুব বেশি হতাশ নন শফিকুল, ‘এই দল নিয়ে যে পর্যন্ত এসেছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। এটা একটা বড় সাফল্যই আমাদের।’ তবে গোল করার কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় দুষলেন স্ট্রাইকারদের, ‘গোল খেয়েও জানপ্রাণ দিয়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয়ার্ধে যে কারণে ফরমেশনও বদলেছি। কিন্তু সহজ সুযোগগুলো স্ট্রাইকাররা মোটেও কাজে লাগাতে পারেনি।’
প্রথমবারের মতো বাফুফে আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে আনন্দে ভাসছে শেখ রাসেল শিবির। কোচ মাহমুদুল হক লিটন এই সাফল্যকে দেখছেন দলীয় প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে, ‘এই জয়ে কারোর একার কৃতিত্ব দেব না। সবার চেষ্টায় আজ আমরা ফাইনালে। সেই সঙ্গে ভাগ্যও আমাদের পক্ষে ছিল।’

No comments

Powered by Blogger.