থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে আবারও সংঘর্ষ, নিহত ৪

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিরোধপূর্ণ সীমান্তে গতকাল শনিবার আবারও দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত চার সেনা নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত দুই দিনে ১০ সেনা নিহত হলেন। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দেশই পরস্পরকে দায়ী করে আসছে।
গত শুক্রবার ভোরে থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সুরিন প্রদেশের বিতর্কিত সীমান্তে তা মোয়ান ও তা ক্রাবেই মন্দিরের চারপাশের জঙ্গল এলাকায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় উভয় পক্ষের তিনজন করে সেনা নিহত হন।
গত শনিবার ভোর ছয়টার দিকে তা ক্রাবেই মন্দিরের পশ্চিমাঞ্চলে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর অভিযোগ, থাই সেনারা গুচ্ছবোমা হামলা চালিয়েছেন। বিষাক্ত গ্যাসভর্তি ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করা হয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কম্বোডিয়ার মন্দিরগুলোর দখল নিতে থাইল্যান্ড আগ্রাসন চালাচ্ছে। এ ধরনের আগ্রাসী হামলার নিন্দা জানানো হয়। সেই সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ অবসানে থাইল্যান্ডকে অস্ত্রবিরতি পালনেরও আহ্বান জানানো হয়।
এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে থাইল্যান্ডের সেকেন্ড আর্মি রিজিয়নের কমান্ডার কর্নেল তাওয়াসি সামুৎসাকোর্ন বলেন, তাঁদের সেনারা গুচ্ছবোমা কিংবা বিষাক্ত গ্যাসভর্তি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেননি। তিনি আরও জানান, শনিবারের সংঘর্ষে তাঁদের এক সেনা নিহত এবং ১৩ সেনা আহত হয়েছেন। সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে ১৫ হাজার গ্রামবাসীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কম্বোডিয়ার গোলন্দাজ ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার কর্নেল সুয়স সোথিয়া জানান, থাইল্যান্ডের ছোড়া গুচ্ছবোমা কম্বোডিয়ার অন্তত ২০ কিলোমিটার ভেতরে আঘাত হানে। তবে এর আগেই ওই গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, গতকালের সংঘর্ষে তাঁদের তিন সেনা নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তা ক্রাবেই মন্দিরের পশ্চিমাঞ্চলে গতকাল স্থানীয় সময় ভোর ছয়টার দিকে ভারী অস্ত্র থেকে গোলা ছোড়ার শব্দ শোনা যায়। এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের এ সংঘর্ষ চলে।
থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল প্রাওয়িত ওয়াংসুওয়ান গতকাল এএফপিকে বলেন, হঠাৎ তারা (কম্বোডিয়ার সেনারা) আমাদের সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

No comments

Powered by Blogger.