নিজেদের ফাঁদেই পড়েছে স্মিথের দল

আজহারউদ্দিন পারেননি। পারেনি শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলীও। এত দিন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসবান্ধব কন্ডিশনে ভারতের একমাত্র জয়টি ছিল অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে। ২০০৬, সেঞ্চুরিয়নে। পরশু আরেক পেস-স্বর্গ ডারবানে জিতলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
২০০৬ সালে জেতার পর দ্রাবিড় বলেছিলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বিশেষ এক মুহূর্ত। আমরা সেভাবেই জয় উদ্যাপন করছি।’ পরশু ধোনি বললেন, এই জয় তাঁর কাছে ততটাই আনন্দের, যতটা আনন্দ তিনি কানপুরে জিতে পান!
ধোনির সঙ্গে এখানেই বুঝি পার্থক্য বাকি সবার। যে পার্থক্যের ছোঁয়া আছে রেকর্ডেও। অধিনায়ক ধোনির এটি ১৪তম টেস্ট জয়। ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়কদের তালিকায় ধোনি এখন আজহারউদ্দিনের সঙ্গে যৌথভাবে দুইয়ে। ১৪টি জয় আজহারউদ্দিন জিতেছিলেন ৪৮ টেস্টে। ধোনির লাগল মাত্র ২৩ টেস্ট। সামনে আছেন কেবল ২১ টেস্ট জেতা সৌরভ গাঙ্গুলী।
ধোনি একক কৃতিত্ব নিতে একেবারেই নারাজ, ‘আসল ব্যাপারটি হলো আমি খুব ভালো একটা দল পেয়েছি। একটা দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিক খেলারই পুরস্কার এটি।’ তাহলে এই জয় কি তাঁর কাছে আলাদা কোনো গুরুত্বই বহন করে না? ধোনির উত্তর, ‘অবশ্য এটা আমাদের জন্য গৌরবের একটা মুহূর্ত।’
প্রথম টেস্টে ভারত ইনিংস হার দিয়ে শুরু করার পর ডারবানে সবুজ উইকেট বানাবে সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। ধোনি কিন্তু তখনই এই বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা তাহলে ধরা পড়বে নিজেদের ফাঁদেই। হলোও তা-ই। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হয়ে পড়া কেপটাউনের উইকেট কেমন হবে, এ নিয়ে ধোনি নিজেই কৌতূহলী, ‘যত সবুজ উইকেট হবে, আমাদের জন্য ততই ভালো।’
ভারতের এই জয় নিশ্চিত করে দিয়েছে, সিরিজের ফল এখন যা-ই হোক না কেন, র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরেই তারা থাকছে। ডারবানের জয়ের পর নিজেদের ক্যারিয়ার-সেরা র‌্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ (ব্যাটিংয়ে ৯-এ) আর জহির খানও (বোলিংয়ে চারে)।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডারবান একরাশ হতাশাই উপহার দিল। গ্রায়েম স্মিথ অবশ্য ভারতকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দেওয়ার আগে দুষলেন প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং, ‘১৩১ রানে অলআউট হওয়ার উইকেট এটা নয়। এক-দুজন ব্যাটসম্যান দুর্ভাগ্যজনক আউট হয়েছেন। ভারত দারুণ বলও করেছে। তার পরও বলব ১৩১ মোটেও ভালো স্কোর নয়।’

No comments

Powered by Blogger.