কষ্টে জিতল শেখ রাসেল

খেলা শেষে ক্লান্ত শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের ফুটবলাররা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ডাগ-আউটের পাশে বসে থাকা খেলোয়াড়দের কাছে গিয়ে এক ক্লাব কর্মকর্তা ধমকের সুরে কিছু বলতেই স্ট্রাইকার মোহাম্মদ ইউসুফ জবাব দিলেন, ‘খেলায় এটা হতেই পারে।’ সত্যি, ফুটবলে গোল মিস হতেই পারে। তাই বলে এমন গোল মিস করা বিসদৃশ! শেখ রাসেল ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে কাল শুরু করেছে তাদের গ্রামীণফোন বাংলাদেশ লিগ অভিযান, কিন্তু জয়টা অবশ্যই বড় হতে পারত। জয়সূচক গোলটি করেছেন মরক্কান স্ট্রাইকার সামির ওমারি।
ঘাম ঝরানো এই জয় স্বস্তি দিয়েছে ক্লাবটির কোচ মাহমুদুল হককে (লিটন)। খেলায় ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন শেখ রাসেলের চার বিদেশি—ক্যামেরুনের চার্লস, ঘানার মরো মোহাম্মদ, মরক্কান সামির ওমারি ও আব্বাস ইনুসাহ।
গোলশূন্য প্রথমার্ধে খুব বেশি আক্রমণে যেতে পারেনি শেখ রাসেল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে মরিয়া ছিল দলটি। দুই উইং দিয়ে বারবার আক্রমণের ফলে ৬৬ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত গোল। বক্সের বাইরে থেকে চার্লসের ক্রসে দারুণ এক শটে গোল করেছেন সামির ওমারি। এর আগে ও পরে গোলের সুযোগ তারা পেয়েছিল কয়েকবার। ৪৪ মিনিটে গোলরক্ষক সুজনকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি ইউসুফ। ৮২ মিনিটে ওমারির বানিয়ে দেওয়া বলে শুধু পা লাগানোর কাজটা করতে পারেননি ওই ইউসুফ।
বাংলাদেশ লিগের গত আসরে তৃতীয় হওয়া শেখ রাসেল এবার প্রথম ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পাওয়াতেই খুশি কোচ মাহমুদুল হক, ‘ছেলেদের পারফরম্যান্সে খুশি। তবে গোল আরও বেশি হতে পারত। প্রথম ম্যাচ বলে একটু নার্ভাস ছিল ওরা।’ তিন মৌসুম ধরে বাংলাদেশে খেলছেন সামির ওমারি। গত লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৫) সামির ওমারি গত ফেডারেশন কাপে পেনাল্টি মিস করেছিলেন আবাহনীর বিপক্ষে। সেই ভুলের মাশুল দেয় তারা শেষ চারে উঠতে ব্যর্থ হয়ে। এবার সে ভুল আর করতে চান না তিনি, লক্ষ্য সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার, ‘এবারও লক্ষ্য থাকবে সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়ার।’
হেরেও ফরাশগঞ্জ কোচ কামাল বাবু খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন না, ‘ছেলেরা যা খেলেছে তাতে সন্তুষ্ট। নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় কিংসেলের ছাড়পত্র দেয়নি লিগ কমিটি। অথচ অনেক আগেই আমরা আবেদন করেছিলাম। ও থাকলে ফলটা অন্যরকম হতে পারত।’

No comments

Powered by Blogger.