বছরের শেষ ম্যাচে চেলসির জয়

খোঁড়াতে থাকা একটা বছরের ‘সুযোগ্য’ সমাপ্তি টানল লিভারপুল। বছরের শেষ ম্যাচে নিজেদের মাঠে হেরে গেল ১-০ গোলে। সেই পরাজয়ও কিনা অবনমন অঞ্চলের দল উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে! কোচ রয় হজসনের মোবাইলে ‘হ্যাপি নিউইয়ার’ বার্তা বুঝি জমা পড়বে না একটিও!
লিভারপুলের ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা পরশুই স্লোগান দিয়েছে হজসনের বিরুদ্ধে। ইংলিশ লিগের সবচেয়ে দুটি সফল দলের একটি (১৮ বার শিরোপা জেতা) লিভারপুলের এই পরিণতি কার ভালো লাগে!
চেলসি সমর্থকেরাও হয়তো আটঘাট বেঁধেই গিয়েছিল কার্লো আনচেলত্তির নামে দুয়ো দিতে। সেই ১০ নভেম্বরের পর লিগে একটি ম্যাচও জেতেনি। চেলসি আগের আট ম্যাচে কুড়িয়েছে মাত্র ৬ পয়েন্ট। বছরের শেষ ম্যাচে অবশ্য আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা জয়ই পেয়েছে তারা। যদিও বোল্টনের বিপক্ষে ফ্লোরেন্ত মালুদার একমাত্র গোলটি এসেছে ম্যাচের ৬১ মিনিটে।
তবে চমক দিয়েছে উইগান অ্যাথলেটিক। অবনমন অঞ্চল থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট দূরত্বে থাকা দলটি পরশু লিগে আটকে দিয়েছে আগের ম্যাচেই চেলসির বিপক্ষে দারুণ জয় পাওয়া আর্সেনালকে। ২-২ গোলে ড্র করায় আর্সেনাল পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে আসার সুযোগ হারিয়েছে। অবশ্য উইগানের ড্রয়ে আছে ভাগ্যের পরশ। তাদের দুই গোলের প্রথমটি পেনাল্টি আর দ্বিতীয়টি আত্মঘাতী। শেষ পর্যন্ত তাই আরশাভিন (৩৯ মিনিট) আর বেন্টনারের (৪৪ মিনিট) গোল দুটো এনে দিয়েছে একটি পয়েন্ট।
আর্সেন ওয়েঙ্গার আর হজসনের ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ যেমনই যাক, আনচেলত্তি অন্তত নিশ্চিন্তে শ্যাম্পেনে চুমুক দিতে পারবেন। মালুদার গোল নিয়ে অবশ্য তীব্র আপত্তি আছে বোল্টনের। দিদিয়ের দ্রগবা আগেই অফসাইডে ছিলেন। যদিও রেফারি সেই দাবিতে কান দেননি। ম্যাচ শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আনচেলত্তি তাই বলতে পারলেন, ‘এই লিগটাকে ভয়ংকর বলতেই হবে। কারণ এখানে যেকোনো দলই যে কারও ঘাম ছুটিয়ে দিতে পারে।’
আনচেলত্তির এই কথায় লুকিয়ে আছে আশাবাদও। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, ম্যানচেস্টার সিটিও কি দুঃসময় আসবে না!

No comments

Powered by Blogger.