শৈশব থেকে রাজনীতি

১৯৪৫ সালের ১৯ জুন ইয়াঙ্গুনে জন্ম অং সান সু চির। বাবা অং সান ছিলেন আধুনিক বর্মি সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের বিষয়ে তিনি মিয়ানমারের পক্ষের মূল সমঝোতাকারী ছিলেন। ওই বছরই প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি নিহত হন। বাবাকে হারিয়ে সু চি তাঁর মা খিন কি, দুই বড় ভাই অং সান লিন ও অং সান ওর সঙ্গে রেঙ্গুনে বড় হতে থাকেন। আট বছর বয়সে লিন পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার পর অপর ভাই সান ওকে তাঁর মা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য পাঠিয়ে দেন।
সু চি মিয়ানমারেই পড়াশোনা করতে থাকেন। ১৯৬০ সালে মা খিন কি ভারত এবং নেপালে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান। তাঁরা চলে আসেন দিল্লি।
১৯৬৪ সালে দিল্লির শ্রীরাম কলেজ থেকে সু চি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখান থেকে তিনি লন্ডনের অক্সফোর্ড চলে যান। উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে সেখান থেকে চলে যান নিউইয়র্কে। সেখানে জাতিসংঘে তিন বছর চাকরি করেন।
১৯৭২ সালে আরিস নামের এক নৃবিজ্ঞানীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পরের বছরই লন্ডনে তাদের প্রথম পুত্রসন্তান আলেকজান্ডার আরিসের জন্ম হয়। দ্বিতীয় ছেলে কিমের জন্ম হয় ১৯৭৭ সালে। ১৯৮৫ সালে সু চি লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৮৮ সালে সু চি দেশে ফিরে নিজেকে পুরোপুরিভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেন। ওই বছরই ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক সরকারের প্রধান জেনারেল নে উইন পদত্যাগ করেন। দেশজুড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন সামরিক জান্তা ক্ষমতা নেয়। জান্তা ক্ষমতায় আসার পরই সু চি নতুন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি গঠনের ঘোষণা দেন।

No comments

Powered by Blogger.