রুনি খুঁজবেন আসল রুনিকে

যাই যাই করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেই থেকে গেলেন। অনেকেই এটাকে দেখছে বেতন বাড়িয়ে নেওয়ার ধান্ধা হিসেবে! সেটা হোক আর না-ই হোক, সপ্তাহজুড়ে রুনির এই ম্যানইউ ছাড়া না-ছাড়ার নাটক, সংবাদমাধ্যমে নানা রসাল খবর মিলিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও ম্লান হয়েছে।
আর এতে রুনির বাণিজ্যিক মূল্যে পড়েছে প্রভাব। এই যেমন সুইজারল্যান্ডের অভিজাত ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুবলট এই মাসে তাদের বিজ্ঞাপন থেকে রুনিকে বাদ দিয়েছে। পরিবর্তে নিয়েছে রুনিরই ম্যানইউ সতীর্থ দিমিতার বারবেতভ, নেমানিয়া ভিদিচ ও হাভিয়ের হার্নান্দেজকে।
ম্যানইউ রুনির সাপ্তাহিক বেতন এক ধাক্কায় বাড়িয়ে ৯০ হাজার থেকে ২ লাখ পাউন্ড করেছে। এই বাড়তি বেতনটা রুনিকে ব্যবহার করেই হয়তো তুলবে ম্যানইউ। রুনিকে সামনে রেখে বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তি করবে তারা। তবে এটা করতে হলে রুনির মলিন ভাবমূর্তিটা উজ্জ্বল করতে হবে সবার আগে।
কভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াবাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক সাইমন চ্যাডউইক বলেছেন, ‘ইউনাইটেডের অনেকগুলো কাজের একটা হতে পারে, রুনিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করেই তাঁকে দেওয়া বাড়তি বেতনটা পুষিয়ে নেবে। তবে হুবলট যেমন রুনিকে বাতিল করেছে, তেমনি নানা কারণেই রুনি-ব্র্যান্ডের আবেদন ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
তবে রুনি যেহেতু পরিবার অন্তঃপ্রাণ, তাই এই ক্ষতিটা সহজেই তিনি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলেও বিশ্বাস চ্যাডউইকের। বছর ঘুরতে না-ঘুরতেই রুনি আবার তাঁর বাণিজ্যিক চাহিদা বাড়িয়ে নিতে পারবেন বলেই মনে করেন তিনি।
রুনির ম্যানইউ ছেড়ে যাওয়ার দুর্মতি থেকে তাঁর বাণিজ্যিক চাহিদায় যে ধস নেমেছে, এর জন্য অ্যালেক্স ফার্গুসন দায়ী করেছেন তাঁর এজেন্টকে। রুনি যে প্রথমে ম্যানইউতে চুক্তি নবায়ন করতে চাইলেন না, সেটির কারণ কী ছিল জানতে চাইলে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকাকে ম্যানইউ কোচ বলেছেন, ‘আপনাকে এখন এজেন্টের সঙ্গে কথা বলতে হয়। কারও সঙ্গে চুক্তি সই করতে হলে তা এজেন্টের মাধ্যমেই করতে হয়। এটা খুব কঠিন। খেলোয়াড়েরা নয়, কিছু এজেন্টই সমস্যা করে।’

No comments

Powered by Blogger.