সাম্প্রাসের ‘৬৪’ ছুঁলেন ফেদেরার

৫২ জয়ের বিপরীতে ১২ হার, বছরজুড়ে ১৫টি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে ৭টির ফাইনালে উঠে শিরোপা মাত্র ৩টি! হাহাকার তোলা এই পরিসংখ্যান ঠিক তাঁর নামের সঙ্গে যায় না। তার পরও ২০১০ সালটিকে স্মৃতির কোলাজ থেকে সরিয়ে রাখতে পারবেন না ফেদেরার। বছরটি ফেদেরারকে ভুলে থাকতে দেবে না স্টকহোম ওপেনের স্মৃতি।
পরশু জার্মানির ফ্লোরিয়ান মায়ারকে ৬-৪, ৬-৩ গেমে হারিয়ে ফেদেরার জিতেছেন স্টকহোম ওপেনের শিরোপা। ১৬টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী তারকার জন্য এটি কোনো বড় শিরোপা নয়। কিন্তু এটি জিতেই যে কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসের আরেকটি কীর্তিতে ভাগ বসালেন ফেদেরার।
ক্যারিয়ারে সাম্প্রাস জিতেছিলেন ৬৪টি এটিপি শিরোপা। স্টকহোম ওপেন দিয়ে ফেদেরারেরও শিরোপাসংখ্যা হলো ৬৪। ওপেন যুগে সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী তালিকায় সাম্প্রাসের সঙ্গে চতুর্থ স্থানে বসা ফেদেরারের সামনে আর আছেন কেবল তিনজন—যুক্তরাষ্ট্রের জিমি ও’কনোর্স (১০৯টি), ইভান লেন্ডল (৯৪টি) ও জন ম্যাকেনরো (৭৭টি)।
সাম্প্রাসের রেকর্ড ছোঁয়ার তৃপ্তি তো আছেই, আছে সুইডেনে প্রথম শিরোপা স্বাদের পরিতৃপ্তি। স্টকহোম ওপেন জয়ের মুহূর্তটি তাই ফেদেরারের কাছে হলো মহা আনন্দের উপলক্ষ, ‘যেকোনো শিরোপা জেতার অনুভূতিই দারুণ। কিন্তু এই অনুভূতিটি বিশেষ, কারণ আগে কখনোই আমি এখানে শিরোপা জয়ের সুযোগ পাইনি।’
আগের সপ্তাহে সাংহাই মাস্টার্সের ফাইনালে অ্যান্ডি মারের কাছে হেরে যাওয়া ফেদেরার পরশু মায়ারকে ধরাশায়ী করেছেন মাত্র ৬৩ মিনিটে। জার্মানদের বিপক্ষে এটি ফেদেরারের টানা ৩৬তম জয়। কোনো জার্মানের কাছে ফেদেরার সর্বশেষ হেরেছিলেন ২০০২ সালে, প্রতিপক্ষ ছিলেন নিকোলাস কেইফার।
এদিকে সেরেনাকে টপকে ক্যারোলিন ওজনিয়াকি ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ানের মুকুট মাথায় তুলেছেন আগেই। ড্যানিশ-কন্যার সামনে এখন আরেকটি কীর্তি গড়ার হাতছানি। আজ থেকে কাতারের দোহায় শুরু হচ্ছে সনি এরিকসন চ্যাম্পিয়নশিপ। এই টুর্নামেন্টে দুটি ম্যাচ জিতলেই বিশ্বের এক নম্বর তারকা হিসেবে বছর শেষ করতে পারবেন ওজনিয়াকি।

No comments

Powered by Blogger.