কোন কাগজে সই করেছেন জানেন না

অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন ১৩ জন সদস্য। এটা পরশুর খবর, কাল পদত্যাগী সদস্য ফরিদ খান ও শর্মিষ্ঠা রায় দাবি করলেন, তাঁরা নাকি জানতেনই না, কোন বিষয় নিয়ে লেখা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন! ফরিদ খানের কথা, ‘বিদ্যুৎ ছিল না, তাই কোন কাগজে সই করেছি জানি না। সবাই করেছে, তাই আমিও করেছি। শর্মিষ্ঠা বলেছেন, ‘আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি কোন কাগজে সই করেছি। পরে পত্রিকা দেখে বুঝলাম, পদত্যাগপত্র ছিল ওটা!’
এই দুজন যা-ই বলুন, কথাগুলো কিন্তু অবিশ্বাস্য শোনায়। কোন কাগজে সই করলেন, তাঁরা সেটা জানেন না! এসব শুনে এক কর্মকর্তা বললেন, ‘এ দেশে পদত্যাগ-নাটক নিয়ে এসব নতুন নয়। যখন যাকে খুশি করতে হয়, তখন অনেকে সেটাই করেন!’
যাই হোক, অ্যাথলেটিকসের এই পদত্যাগ-নাটক কিন্তু বেশ জমে উঠেছে। বিদেশ সফর, নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না পাওয়া ইত্যাদি অভিযোগ শোনা যাচ্ছে অনেকের মুখে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ও সহসভাপতি আলী ইমাম তপনের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে। পাওয়া না পাওয়ার বেদনা আর ক্ষোভ থেকে এই ফেডারেশনে ভাঙন ধরেছে। তবে এসব নতুন কিছু নয়। একদল যায়, আরেক দল আসে...এই খেলাই তো চলছে!
শাহ আলম জানান, গত ১৯ জুলাই কানাডায় শুরু হওয়া ওয়ার্ল্ড জুনিয়র অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে অ্যাথলেট পাঠানো নিয়েই আলী ইমামের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্যের শুরু। এরপর প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দক্ষিণ এশীয় গেমসের পুরস্কারের অর্থ বিতরণ নিয়েও দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর পরই নাকি শাহ আলমকে হুমকি দিয়ে তপন বলেন, ‘দেখি, কীভাবে আপনি ফেডারেশন চালান, আমিও দেখে নেব।’ এই অভিযোগ অস্বীকার করে আলী ইমামের কথা, ‘সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্বার্থে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তিনি ফেডারেশন চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এবং স্বচ্ছতাও নেই।’ বলা দরকার, আলী ইমামও একসময় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তুলতেন সদস্যরা।

No comments

Powered by Blogger.