আরও উন্নতি চান স্ট্রাউস

২০০৪ সালের মে মাস থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে টানা আটটি টেস্ট জিতেছিল ইংল্যান্ড; এটাই দেশটির টানা জয়ের রেকর্ড। মাইকেল ভনের সেই রেকর্ড ছুঁতে আর মাত্র দুটি টেস্ট জিততে হবে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসকে। রেকর্ডের এত কাছে দাঁড়িয়ে থাকা অধিনায়কের হাওয়ায় ভাসার কথা। কিন্তু হাওয়ায় ভাসা দূরে থাক, স্ট্রাউস উল্টো দলকে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, আরও উন্নতি করতে হবে।
রেকর্ড-টেকর্ড মাথায় না এনে একটা একটা করে ম্যাচের কথা ভাবতে চাইছেন স্ট্রাউস, ‘যেকোনো সময়ই টানা ছয়টি জয় নিজেদের ওপর সন্তুষ্ট হওয়ার মতো পারফরম্যান্স। কিন্তু আমরা ভালোভাবেই জানি যে অনেক অনেক জায়গা রয়ে গেছে, যেখানে উন্নতি প্রয়োজন। ফলে এই সাফল্যে ভেসে যাওয়ার কিছু নেই। আমাদের এখন প্রথম কাজ পরের ম্যাচটা জিতে সিরিজ নিশ্চিত করা এবং তারপর ওদের (পাকিস্তানকে) চেপে ধরা।’
আসলে স্ট্রাউস নিজেদের সাফল্য নিয়ে খানিকটা দার্শনিকভাবেই চিন্তা করছেন। যে চিন্তায় অতীত সাফল্য মাঠে কথা বলে না, ‘আমরা কতটা ভালো দল তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। সময় সব সময় আমাদের পছন্দমতো চলবে না।’ যেমন চলছে না স্টুয়ার্ট ব্রডের জন্য। শৃঙ্খলাজনিত কারণে বেশ সমালোচিত হচ্ছেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার। পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিতীয় টেস্টে ফিল্ডিংয়ের সময় জুলকারনাইন হায়দারকে বল ছুড়ে মারায় শাস্তিও পেয়েছেন ব্রড। অন্য দেশের সাবেক খেলোয়াড়েরা তো বটেই, সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেনও বাজে আচরণের জন্য ব্রডের তীব্র সমালোচনা করেছেন, ‘স্টুয়ার্ট ব্রডের এই আচরণ যদি প্রথমবারের মতো হতো, তাহলে আমি এ নিয়ে কথা বলতাম না। কিন্তু স্টুয়ার্টের ইতিহাস মনে রাখলে আপনাকে মানতেই হবে, ও সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’
ব্রডের ব্যাপারে আসলে স্ট্রাউসও একটু বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেছেন। ক্রিস ব্রড-তনয় স্টুয়ার্ট আগের চেয়ে পরিণত হয়েছেন দাবি করেও ইংলিশ অধিনায়ক বলছেন, ‘অবশ্যই কাজটা ভালো হয়নি। ও নিজেও বুঝতে পেরেছে, ও সীমা অতিক্রম করেছে। ও এর মূল্যও দিয়েছে।’ যদিও মূল্যটা কম হয়েছে বলেই অনেকের ধারণা।

No comments

Powered by Blogger.