যেখানে শুধুই হাহাকার

এগারোতম দক্ষিণ এশীয় গেমস (এসএ) বাংলাদেশকে অনেক কিছুই দিয়েছে। এই গেমসের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সোনার পদক এসেছে এবারই। হয়েছে কিছু ভেন্যুর উন্নয়ন। তবে খেরোখাতা নিয়ে বসলে অ্যাথলেটিকসের ঘরটাতে শুধুই হাহাকারের চিহ্ন। কাল শেষ দিনেও সেখানে কেবলই শূন্যতা ও হতাশার ছবি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কাল নিষ্পত্তি হয়েছে ৭টি সোনার লড়াই। বাংলাদেশের অর্জন কেবল একটি ব্রোঞ্জ। সেটি মেয়েদের ৪১০০ মিটারে।
বাংলাদেশে সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে অনুষ্ঠিত গেমসে দ্রুততম মানব হয়েছিলেন বিমল তরফদার। ১৭ বছর পর বাংলাদেশের আরেকটা গেমসের সেরা ইভেন্টটি উচ্ছ্বাসহীন। সবাই আগে থেকেই জানত ১০০ মিটার স্প্রিন্টে বাংলাদেশের কোনো আশা নেই। না মেয়েদের বিভাগে, না ছেলেদেরটায়। ১০০ মিটার স্প্রিন্ট শেষও হলো চিত্রনাট্য অনুসরণ করে।
কাল সাতটি ইভেন্টের একটিকে ঘিরে আশার সলতে জ্বেলেছিল বাংলাদেশ। ছেলেদের সেই হাই জাম্পেও হতাশার গল্প। সজীব হোসেন অবশ্য সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। লাফিয়েছিলেন ক্যারিয়ার-সেরা ২.১০ মিটার। এর পরও তিনি চতুর্থ। এই ইভেন্টে সোনা ও রুপা গেছে ভারতের হরিশঙ্কর রায় (২.১৬ মিটার) ও নিখিল চিতারাশুর অধিকারে (২.১৩ মিটার)। ব্রোঞ্জজয়ী শ্রীলঙ্কার নালিন প্রিয়ান্থা।
হাই জাম্পের মতো আরও দুটি ইভেন্টে চতুর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মেয়েদের লং জাম্প, ছেলেদের ৪১০০ মিটার রিলে। মেয়েদের লং জাম্পের সোনা শ্রীলঙ্কার। ভারত জিতেছে রুপা ও ব্রোঞ্জ। ছেলেদের ৫ হাজার মিটারের সোনা ও রুপা ভারতের। ব্রোঞ্জ শ্রীলঙ্কার। মেয়েদের ৪১০০ রিলের সোনা ও রুপা পেয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। আর ছেলেদের ৪১০০ রিলেতে সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জ জিতেছে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান।

No comments

Powered by Blogger.