দিলশান-চামারাকেও হারাল শ্রীলঙ্কা

দুপুর সোয়া ১২টা। শ্রীলঙ্কা দল মাঠের উদ্দেশে হোটেল ছাড়ছে। কিন্তু লবিতে কুমার সাঙ্গাকারাকে এগিয়ে দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে লিফটের দিকে ফিরে গেলেন তিলকরত্নে দিলশান।
 আজ (গতকাল) তাহলে খেলছেন না!
—না। আমি তো দুই সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেলাম।
দলের সঙ্গে না গেলেও ঘণ্টাখানেক পর ম্যানেজারের সঙ্গে মাঠের উদ্দেশে হোটেল ছাড়লেন প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান। যাওয়ার আগে বলে গেলেন হতাশার কথা, ‘ভালো একটা সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। এই সময়ে ইনজুরিতে পড়া খুবই হতাশাজনক। কিন্তু কী আর করা...।’
দিলশানের হতাশা ছুঁয়ে যাচ্ছে পুরো শ্রীলঙ্কা দলকেই। গত এক বছর টেস্ট-ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি সবখানেই দলের নির্ভরতা হয়ে উঠেছিলেন। খর্বশক্তির বোলিং নিয়ে এই আইডিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বড় ভরসাও ছিলেন এই ওপেনার। দিলশানেই শেষ নয়। কুঁচকির ইনজুরিতে দিলশান তো দুই সপ্তাহের জন্য বাইরে, ডান হাতের বুড়ো আঙুলের ওপরে চোট চামারা সিলভাকে ছিটকে ফেলেছে চার সপ্তাহের জন্য। পরশুর ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন হাতে। এক্স-রেতে চিড় ধরা পড়েছে হাড়ে, হাতে পড়েছে ব্যান্ডেজ। ত্রিদেশীয় সিরিজের বাকিটা তাই এই দুই ব্যাটসম্যানকে ছাড়াই খেলতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে।
দিলশান-চামারার সিরিজ থেকে ছিটকে পড়া শ্রীলঙ্কা দলের ইনজুরির তালিকাটাকে লম্বা করে দিল আরও। এ কারণেই বাংলাদেশে আসতে পারেননি মুত্তিয়া মুরালিধরন, মাহেলা জয়াবর্ধনে, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও দিলহারা ফার্নান্ডো। গত কিছুদিনের পারফরম্যান্স বিবেচনায় দিলশানকে হারানো বোধ হয় এদের যে কাউকে হারানোর চেয়ে বড় ধাক্কা।
তবে বাংলাদেশ সফরে ইনজুরিই একমাত্র দুশ্চিন্তা নয় শ্রীলঙ্কার। অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা পরশু ম্যাচ শেষে যতই বলুন ক্রিকেটীয় চিন্তাটাই সবার আগে, নিরাপত্তার শঙ্কা সর্বদাই ঘিরে থাকছে তাঁদের। লাহোরে টিম বাসে হামলার পর থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর আস্থাটাই নড়ে গেছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের। টিম ম্যানেজমেন্ট তাই দলের প্রতিটি পদক্ষেপ গোপন রাখতে চাইছে। হোটেল থেকে টিম বাস কখন ছাড়বে, কখন অনুশীলন বা খেলায় যাবে দল, সেসব তথ্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকাদেরও জানানো হচ্ছে শেষ সময়ে।

No comments

Powered by Blogger.